শক্তি-সামর্থ্যে পিছিয়ে থাকা জিব্রাল্টারকে নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করল ফ্রান্স। প্রতিপক্ষকে গোল বন্যায় ভাসিয়ে দিল দলটি। গড়ল দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড।
ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্বে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে জিব্রাল্টারকে ১৪-০ গোলে হারিয়েছে ফরাসিরা। ছাড়িয়ে গেছে ১৯৯৫ সালে ইউরোর বাছাইপর্বে আজারবাইজানের বিপক্ষে ১০-০ ব্যবধানে জয়ের কীর্তিকে।
ইউরোর বাছাইয়েও ফ্রান্সের চেয়ে বড় ব্যবধানে জয় নেই আর কারো। ২০০৬ সালে সান মেরিনোর বিপক্ষে জার্মানির ১৩-০ গোলের জয় ছিল আগের রেকর্ড।
শুরু থেকেই এদিন জিব্রাল্টারকে আক্রমণে কোণঠাসা করে রাখে ফ্রান্স। তৃতীয় মিনিটেই ইথান সান্তোসের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় তারা। পরের মিনিটে জালের দেখা পান ফ্রান্সের মার্কাস থুরাম।
ফ্রান্সের হয়ে অভিষেক হয় ওয়ারেন জাইরে-এমেরির। জাতীয় দলের হয়ে নিজের প্রথম ম্যাচেই রেকর্ড গড়েন তিনি। ১৬ মিনিটে জালের দেখা পাওয়া ১৭ বছর ২৫৫ দিন বয়সী এই ফুটবলার এখন ফ্রান্সের জার্সিতে গোল করা সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড়।
দুই মিনিট পর ইথান লাল কার্ড দেখলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় জিব্রাল্টার। সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে তাদেরকে গোলের স্রোতে ভাসিয়ে দেয় ফ্রান্স। হ্যাটট্রিক করেন দলটির সবচেয়ে বড় তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে। ফ্রান্সের হয়ে সবচেয়ে বেশি গোলে অতোয়ান গ্রিজমানকে ছাড়িয়ে তিনি এখন তিনে। এমবাপ্পে গোল ৪৬টি, গ্রিজমানের ৪৪।
দুটি করে গোল করেন কিন্সলে কোমান ও অলিভিয়ে জিরুদ। ফ্রান্সের হয়ে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ডটি আরও সমৃদ্ধ করলেন জিরুদ। তার গোল সংখ্যা এখন ৫৬টি।