স্বাস্থ্য

হাফ সিদ্ধ-ফুল না অমলেট, কিভাবে ডিম খেলে বেশি উপকার?

কম খরচে ডিমের চেয়ে পুষ্টিকর আর একটি খাবার খুঁজে পাওয়া সত্যিই দুষ্কর। তবে উপকারী ডিমকে নিয়েও কিন্তু বিতর্কের শেষ নেই। একদল মনে করেন, ফুল সিদ্ধ ডিম খেলেই বেশি উপকার মিলবে। আরেকদল মনে করেন, ডিম হাফ সিদ্ধ করে খেলে পরিপূর্ণ পুষ্টি মেলে।

কেউ কেউ আবার ডিম অমলেট করে খাওয়ার পক্ষে। তারা বিশ্বাস করেন, পেঁয়াজ-মরিচ-তেল দিয়ে ডিম অমলেট বা ভেজে খেলে তাতে রসনাতৃপ্তিও হয়, আবার মিটে যায় পুষ্টির ঘাটতিও। আসলেই কি তাই? চলুন জেনে আসি বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন।

ডিমের গুণাগুণের শেষ নেই

একটি ডিম থেকে মেলে প্রায় ৬.৫ গ্রাম প্রোটিন। এই প্রোটিন কিন্তু স্বাস্থ্যগুণে সেরার সেরা। তাই নিয়মিত ডিম খেলেই দেহে প্রোটিনের ঘাটতি অনায়াসে মিটিয়ে ফেলা সম্ভব হবে।

শুধু তাই নয়। এতে রয়েছে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন ডি, আয়রন, ভিটামিন বি ৬, ম্যাগনেশিয়াম, কোবালমিনসহ একাধিক ভিটামিন ও খনিজ। তাই নিয়মিত ডিম খেলে যে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি মিটিয়ে ফেলতে পারবেন, তা তো বলাই বাহুল্য!

সিদ্ধ ডিম না অমলেট, কোনটা বেশি উপকারী?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিমের সমস্ত গুণ পেতে চাইলে সিদ্ধ করেই খেতে হবে। তাতেই এই খাবারে থাকা সমস্ত ভিটামিন ও খনিজ অক্ষত অবস্থায় গ্রহণ করতে পারবেন। কারণ, ডিম ভাজলে তার ক্যালোরি ভ্যালু অনেক বেড়ে যায়। ফলে নিয়মিত অমলেট খেলে কোলেস্টেরল এবং ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা তৈরি হবে।

তাই বলে কিন্তু অমলেটকে স্বাস্থ্যের ভিলেন বানিয়ে দেওয়া যাবে না। বরং যে কোনো সুস্থ-সবল মানুষ সপ্তাহে এক-দুইবার অনায়াসে অমলেট খেতেই পারেন। তবে খুবই অল্প তেলে ভাজতে হবে ডিম। এতে কোনো সমস্যার আশঙ্কা থাকে না বললেই চলে।

কিন্তু ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, হাই প্রেশার বা ওজন বেশি থাকলে কিন্তু চিকিৎসক বা ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নিয়ে তারপরই অমলেট খেতে হবে। নইলে সমস্যায় পড়তে সময় লাগবে না।

হাফ বয়েল কী খাওয়া যাবে?

অনেকে মনে করেন, আধা সিদ্ধ বা হাফ বয়েল ডিম বোধহয় খুব উপকারী। বিষয়টা একবারেই তেমন নয় বলে জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। তারা বলছেন, হাফ বয়েল ডিম খেলে শরীরে সিঁধ কাটতে পারে একাধিক ব্যাকটেরিয়া।

এইসব ব্যাকটেরিয়ার ফাঁদে পড়লে বমি, ডায়ারিয়ার খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই সুস্থ-সবল জীবন কাটানোর ইচ্ছা থাকলে হাফ বয়েল ডিম এড়িয়ে চলার চেষ্টা করার পরামর্শ পুষ্টিবিদদের। নইলে যে সমস্যার শেষ থাকবে না।

দিনে কতকগুলো ডিম খাওয়া যাবে

প্রতিদিন একটা গোটা ডিম যে কোনো সুস্থ মানুষ খেতেই পারেন। তবে ডায়াবেটিস, হাই কোলেস্টেরলের মতো অসুখ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া গোটা ডিম খাবেন না। বরং একটা ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন। এতেই সুস্থ থাকার পথ প্রশস্থ হবে।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button