জুমার দিনে যখন বান্দার দোয়া আল্লাহ কবুল করেন
![](https://boguralive.com/wp-content/uploads/2023/12/1-128.jpg)
প্রত্যেক মুসলমানের কাছে জুমার দিনটি পবিত্র। দিনটিকে মুসলমানদের জন্য সাপ্তাহিক ঈদ বলা হয়েছে। জুমার দিনে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় রয়েছে যখন বান্দার দোয়া আল্লাহ কবুল করেন।
সহিহ বুখারিতে উল্লেখ রয়েছে, জুমার দিনে এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে, কোনো মুসলিম বান্দা যদি এ সময় নামাজে দাঁড়িয়ে আল্লাহর কাছে কিছু চায়, তাহলে তিনি তাকে অবশ্যই তা দান করেন।
বেশিরভাগ সাহাবি ও আলেমের মতে, জুমার দিন দোয়া কবুলের বিশেষ সময় হলো, আসরের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত।
জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ থেকে বর্ণিত রাসুল (সা.) বলেছেন, জুমার দিন এমন বারোটি মুহূর্ত রয়েছে, এমন কোনো মুসলিম বান্দা পাওয়া যাবে না, যে ওই মুহূর্তগুলোতে আল্লাহর কাছে কোন কিছু চাইবে, কিন্তু তাকে তা দেওয়া হবে না। তোমরা ওই মুহূর্তগুলোকে আসরের পর শেষ সময়ে অনুসন্ধান কর। (সুনান আন-নাসাঈ)
আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) বলেন, একদিন রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বসে ছিলেন। আমি বললাম, আমরা আল্লাহর কিতাবে জুমার দিনের এমন একটি মুহূর্ত সম্পর্কে আলোচনা পেয়েছি, যে মুহূর্তে কোনো মুমিন বান্দা নামাজরত অবস্থায় আল্লাহর কাছে কিছু প্রার্থনা করলে তিনি তার প্রয়োজন পূরণ করেন।
আবদুল্লাহ বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার দিকে ইশারা করে বললেন, সামান্য কিছু সময়। আমি বললাম, আপনি যথার্থই বলেছেন, সামান্য সময়ই। আমি বললাম, সেই মুহূর্ত কোনটি? তিনি বললেন, সেটি হলো, দিনের শেষ মুহূর্ত। আমি বললাম, তা তো নামাজের সময় নয়। তিনি বললেন, মুমিন বান্দা এক নামাজ শেষ করে বসে অন্য নামাজের প্রতীক্ষায় থাকলে সে নামাজের মধ্যেই থাকে। (সুনানে ইবনে মাজা)
তাই প্রত্যেক মুসলমানের উচিত আসরের পর থেকে মাগরিবের আগ পর্যন্ত দোয়া কবুলের জন্য প্রার্থনা করা, নিজের গুনাহের জন্য ক্ষমা চাওয়া। এ সময় নিজের অভাব, অভিযোগ আল্লাহর কাছে তুলে ধরা এবং মনের আশা পূরণের জন্য দোয়া করা উচিত।