অর্থ ও বানিজ্য

গরুর মাংসের দাম নিয়ন্ত্রণে ভোক্তা অধিদপ্তরের ৩ নির্দেশনা

গরুর মাংসের দাম নিয়ন্ত্রণে তিনটি নির্দেশনা দিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান।

আজ রবিবার খুচরা ও পাইকারী মাংস ব্যবসায়ী, বাংলাদেশ ডেইরী ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন- ২০০৯ বিষয়ক সেমিনারে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

ডিজি বলেন, ‘আমাদের দুইটি বড় সংগঠন বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন আগামী বুধবার নিজেরা বসবেন এবং গরুর মাংসের দাম কমাতে কি কি করণীয় এবং কত দাম নির্ধারণ করা যায় সেটি ঠিক করবেন। এরপর বৃহস্পতিবার ভোক্তা অধিদপ্তরে সেটি লিখিতভাবে দেবেন। সেই রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে যতটুকু পারা যায় আমি আমার ক্ষমতা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। যেটা পারব না সেটি সরকারের সংশ্লিষ্ট জায়গায় পাঠাব। পাশাপাশি গরুর উৎপাদন খরচ ও মাংসে দাম কত হওয়া উচিত সেটি অনুসন্ধান করার জন্য বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন পোল্ট্রি ফিড নিয়ে একটি গবেষণা করছে। গরুর মাংসের মূল্য কত হওয়া উচিত বা এর উৎপাদন খরচ কত সেটি নিয়েও একটি গবেষণা করা দরকার। সেটা করার জন্য ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে আমি অনুরোধ জানব। আমাদের কাছে কোনো নির্দিষ্ট তথ্য নেই। পাকিস্তান যদি সাড়ে ৪০০ টাকায় গরুর মাংস খাওয়াতে পারে, তাহলে আমাদের এখানে কোনোভাবেই সাড় ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা দাম হতে পারে না। যত যুক্তিই দেন। এ জন্য গবেষণা হওয়া দরকার।’

মহাপরিচালক বলেন, ‘কেউ পাইকারি থেকে ৭০০ টাকায় গরুর মাংস কিনে ৭৫০ টাকায় বিক্রি করবেন। তবে সে জন্য পাকা রশিদ দেখাতে হবে। কারণ আমাদের অভিজ্ঞতা মাংসসহ সব ধরনের পণ্যে এই জায়গায় কারচুপি হয়। তাই বিক্রেতারা যেখান থেকে মাংস কিনেন সেখানকার পাকা রশিদ রাখতে হবে। পাকা রশিদ যদি না থাকে তাহলে ধরে নেওয়া হবে এখানে অনিয়ম হচ্ছে। এ জন্য আমাদের অভিযান অব্যহত থাকবে। পাশাপাশি দোকানে ক্রয়মূল্য ও বিক্রয়মূল টাঙিয়ে রাখতে হবে।’

এর আগে গরুর মাংসের দাম কমাতে কি কি করণীয়, খলিলসহ কয়েকজন কিভাবে কম দামে গরুর মাংস বিক্রি করছে সেই বিষয়ে খুচরা ও পাইকারি মাংস ব্যবসায়ী, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেন ভোক্তা অধিদপ্তরের ডিজি।

এ সময় বেশ কয়েকবার হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। যার করণে দীর্ঘ তিনঘণ্টা ধরে চলা সেমিনারটি কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শুধু নির্দেশনা দিয়ে শেষ করেন তিনি।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button