আজ থেকে শুরু হবে নির্বাচনি প্রচারণা, মানতে হবে কিছু নির্দেশনা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থিদের প্রতীক বরাদ্ধ দেওয়া হবে আজ। প্রতীক বরাদ্ধের পর থেকে শুরু হবে নির্বাচনি প্রচারণা। চলবে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, প্রতীক নিয়েই প্রচার শুরু করতে পারেন প্রার্থিরা। আর তা শেষ হয় ভোটগ্রহণ শুরুর ৪৮ ঘণ্টা পূর্বে। নির্বাচনি প্রচারে প্রার্থিদের মানতে হবে বেশ কিছু নির্দেশনা। সেগুলো হলো-
পোস্টার রঙিন করা যাবে না। পোস্টারে প্রার্থী ছাড়া দলীয় প্রধানের ফটো ব্যবহার করা যাবে তবে তা দড়িতে ঝুলিয়ে প্রচার করতে হবে। পোস্টারের সাইজ হবে দৈর্ঘ্য ৬০ সেন্টিমিটার ও প্রস্থ ৪৫ সেন্টিমিটার এবং ব্যানার কোনোভাবেই তিন মিটারের বেশি হবে না। প্রচারের অংশ হিসেবে যে কোনো প্রকার দেওয়াল লিখন করা যাবে না। ৪০০ বর্গফুট এলাকার বেশি বড় কোনো প্যান্ডেল করে প্রচার চালানো যাবে না। কাপড়ের তৈরি ব্যানার করে প্রচার চালানো গেলেও ডিজিটাল ডিসপ্লে ব্যবহার করা যাবে না।
সভা করতে হলে কমপক্ষে ২৪ ঘণ্টা আগে পুলিশকে অবহিত করে অনুমতি নিতে হবে। এক্ষেত্রে সভার দিন, সময় ও স্থান সম্পর্কে উল্লেখ করে আবেদন করতে হবে।
মাইকে প্রচার হতে হবে দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে। নির্বাচনি এলাকায় প্রতি ইউনিয়ন, পৌর ও সিটি এলাকার ওয়ার্ডপ্রতি নির্বাচনি ক্যাম্প করতে হবে একটি। ক্যাম্পে ভোটারদের কোনো কোমল পানীয় বা খাদ্য পরিবেশন বা কোনোরূপ উপঢৌকন দিতে পারবেন না। প্রার্থী তার নির্বাচনি এলাকা বা অন্যত্র অবস্থিত কোনো প্রতিষ্ঠানে চাঁদা বা অনুদান প্রকাশ্যে বা গোপনে দিতে পারবেন না। এমনকি অঙ্গীকার করা থেকেও বিরত থাকতে হবে। প্রচারের জন্য কোনো গেট, তোরণ নির্মাণ বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি থেকে বিরত থাকবে হবে। নির্বাচনি ক্যাম্প এমন স্থানে তৈরি করতে হবে যেন জনসাধারণের চলাচলে অসুবিধা না হয়।
মোটরসাইকেলসহ যে কোনো মোটরগাড়িতে করে মিছিল, মশাল মিছিল বা শোভাযাত্রা করা যাবে না। বিদ্যুৎ ব্যবহার করে কোনো প্রকার আলোকসজ্জা করা যাবে না। প্রচারণায় প্রতীক হিসেবে জীবন্ত কোনো প্রাণীর ব্যবহার করা যাবে না।
প্রচারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় উপাসনালয় ব্যবহার করা যাবে না। সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা সব সুবিধা ত্যাগ করে প্রচার কাজে অংশ নিতে হবে। কোনো ডাক বাংলা, সরকারি গাড়ি ব্যবহারসহ সব প্রটোকল ছাড়তে হবে। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ আইনে অনুমতি থাকায় নিরাপত্তার কারণে প্রটোকল পাবেন।
অনুদানের ঘোষণা, প্রকল্প, ফলক উন্মোচন, ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা যাবে না। সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে সিটি করপোরেশনের মেয়ররাও সুবিধাভোগের বাইরে থাকবেন। তবে সরকারি কাজে তারা সরকারি সুবিধা পারেন। কিন্তু সরকারি কাজে গিয়ে নির্বাচনি প্রচার চালানো যাবে না।
দলীয় প্রধান ছাড়া অন্য কেউ হেলিকপ্টার ব্যবহার করতে পারবেন না। যাতায়াতের সময় হেলিকপ্টার থেকে লিফলেট, ব্যানার বা অন্য কোনো প্রচার সামগ্রী প্রদর্শন বা বিতরণ করতে পারবেন না।
কোনো প্রার্থী আইনে নির্ধারিত এই সব নির্দেশনা না মানলে ৬ মাসের জেল বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হবে। আর কোনো দল এই নির্দেশনা না মানলে দলের জরিমানা হবে ৫০ হাজার টাকা।
ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম এ বিষয়ে বলেছেন, সকল প্রার্থীকে নির্বাচনি আচরণ বিধিমালা মেনে চলতে হবে। অন্যথায় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।