আইন ও অপরাধ

যারা হরতাল দিয়েছে তারাই ট্রেনে আগুন দিয়েছে: ডিএমপি কমিশনার

যারা অবরোধ-হরতাল দিয়েছে তারাই ট্রেনে আগুন দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।

মঙ্গলবার দুপুরে ট্রেনে আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মরদেহ ও আহতদের দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমি মনে করি যারা অবরোধ-হরতাল দিচ্ছে তারাই এই নাশকতার সঙ্গে জড়িত। এর আগেও তারা এভাবে ট্রেনে নাশকতা করেছিল।’

নাশকতার দায় কাদের তা জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘যারা অবরোধ করেছে, যারা হরতাল করছে তারাই এটি করছে। এর আগে যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছিল তারা ধরাও পড়েছিল। আজকের ঘটনাটিকে আমি সরাসরি হত্যা বলতে চাই। যারা করেছে তারা হরতাল ও অবরোধকারীদের একটি অংশ বলে আমি মনে করি। কেবল একটি অংশ নয়, এটি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের অংশ এবং তার অংশ হিসেবেই তাদের যারা অনুসারী রয়েছে তারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে মনে করে।’

বিএনপির অধিকাংশ নেতাই জেলে রয়েছে তার পরেও কাদের নির্দেশে এ ধরনের নাশকতা হচ্ছে এমন এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘যারা হরতাল করছে, যারা জ্বালাপোড়াও করছে, নাশকতা করছে, তাদের বিদেশি নেতাদের নির্দেশে এদেশে তাদের যে এজেন্ট রয়েছে, অনুসারীরা রয়েছে তারাই যে এটা করছে এটা দিবালোকের মতো স্পষ্ট।’

তিনি বলেন, ‘যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা কোনো অবস্থাতেই পার পাবে না। তারা অতীতেও পার পায় নাই। ট্রেনে, বাসে যেসব জ্বালাপোড়াও হচ্ছে এর প্রত্যেকটি ঘটনায় আমরা প্রত্যেককে শনাক্ত করতে পেরেছি। তারা স্বীকারও করেছে তাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে তাদের রাজনীতি টিকিয়ে রাখার স্বার্থে এই ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে। আমাদের সতর্কতা ছিল, তারপরেও যেহেতু এ ঘটনা ঘটেছে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, সিআইডি, ডিবি এবং রেলওয়ে পুলিশ তৎপর রয়েছে যেন পরবর্তীতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা আহত একজনের কাছে যেটুকু জানতে পেরেছি, ভিতরে যারা ছিল তারাই সেখানে আগুন দিয়েছে। সে নিজেও সেখানে ছিল। সে দেখেছে সিটের ভিতরে প্রথম আগুন দিয়েছে এবং সে আগুন আস্তে আস্তে ছড়িয়ে গেছে। যেহেতু ভোর ছিল অনেকেই ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল। আমরা দেখি একজন মা তার সন্তানকে জড়িয়ে ধরে রেখেছিল, হয়তো বাঁচার চেষ্টা করেছিল।’

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ভোর পাঁচটার সময় ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে পৌঁছায়। সেখান থেকে কমলাপুরের উদ্দেশ্যে যখন রওনা করে বনানী কাকলির কাছাকাছি এলে ‘জ’ নামক যেই বগিটি ছিল সেই বগিটির ভিতরে যাত্রীরা আগুন দেখতে পায়। অনেকেই লাফ দিয়ে বগি থেকে বেরিয়েছে। তবে চারজনকে পুড়িয়ে সেখানে হত্যা করা হয়েছে। এরমধ্যে এক মা ও তার ছেলে ইয়াসিনকে শনাক্ত করা গেছে। বাকি দুইজনকে এখনো শনাক্ত করা যায়নি। তাদের শনাক্ত করার জন্য আমাদের সিআইডি চেষ্টা করছে। তাদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বিভৎসভাবে পুড়ে যাওয়ায়। তাদের ডিএনএ সংগ্রহ করা হচ্ছে যাতে পরবর্তীতে শনাক্ত করা যায়।’

এ ঘটনায় কমলাপুরের ঢাকা রেলওয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হবে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার। সূত্র: ঢাকা টাইমস

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button