বগুড়া জেলা

এসপির সহযোগীতা চাইলেন হিরো আলম

বগুড়া- ৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী আলোচিত আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম পুলিশ সুপারের সহযোগীতা চেয়েছেন।

শুক্রবার থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবেন জানিয়ে তিনি বলেন, আমি আজ বগুড়ায় এসেছি। প্রচারণার আগে এসপি স্যারের সাথে দেখা করতে এসেছিলাম। স্যারকে জানিয়েছি কাহালু নন্দীগ্রামে প্রচারণাকালে যেকোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে সাথে সাথে যেন পুলিশের সহযোগিতা পাই।

বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশ সুপারের সাথে সাক্ষাৎ এর পর সাংবাদিকদের তিনি আরো বলেন, এবার কাউকে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে দিব না। কেউ যেন ফাঁকা মাঠে গোল দিতে না পারে এজন্য নির্বাচনের মাঠে রয়েছি।

নির্বাচনের খরচের ব্যাপারে হিরো আলম বলেন, ‘নির্বাচন করতে আহামরি খরচ হয় না। যারা দুর্বল প্রার্থী তারাই নির্বাচনে টাকা খরচ করে। আমার নির্বাচনের খরচ জনগণ দিবে, যারা আমাকে ভালোবাসে। আর জনগণ আমাকে ভালবেসেই ভোট দিতে আসবে।’

হিরো আলম আরও বলেন, বগুড়াসহ সারাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে এটা ইসি বার বার বলেছেন। আর এক্ষেত্রে পুলিশ ও সাংবাদিকেরা বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি।
এক প্রশ্নের জবাবে হিরো আলম বলেন, ‘ভোট করতে চাচ্ছিলাম না। কারণ ভোটাররা বলছে তোমাকে ভোট দিব কয়বার? তুমি পাশ করলে তাও পেলে না। পরে ভোটারদের আবারও অনুরোধে নির্বাচনের মাঠে থাকলাম। আবার অনেকে মনে করেছে হিরো আলম টাকার কাছে বিক্রি হয়ে গেছে। টাকা খেয়ে ভোটের মাঠ থেকে সরে যাচ্ছে। এসব প্রশ্ন ভেঙে দেয়ার জন্যও ভোটের মাঠে রয়েছি।’

হিরো আলমের সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘বগুড়ার সাতটি আসনে ৫৪জন প্রার্থীকে পুলিশ সমান সহযোগিতা করবে। এখানে কাউকে আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই। আজ হিরো আলম এখানে এসেছিলেন। তার কথা শুনেছি এবং তাকে আশ্বস্ত করেছি নির্বাচনে কাহালু ও নন্দীগ্রাম থানা পুলিশ নির্বাচনী বিধি মেনে সহযোগিতা করবে।’

এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে বগুড়া-৬ (সদর) ও বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন তিনি। পরে ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনেও অংশ নেন হিরো আলম। এবারও হিরো আলম বগুড়া-৪ আসনে ডাব প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button