লাইফস্টাইল

পুরুষের চুলের যত্নে ৫ উপায়

এমনিতেই পুরুষরা কম ত্বক-রূপ সচেতন, অনেকে এসব রীতিমতো অবহেলা করেন। কিন্তু খাদ্যাভাস, অনিয়মিত ঘুম, দুশ্চিন্তা ইত্যাদি নানা কারণে পুরুষকে ত্বক এবং চুল নিয়ে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে দেখা যায়। তবে দিন বদলাচ্ছে অনেকেই এখন চুলের যত্ন বাড়িয়েছেন, হেয়ার কালার করাচ্ছেন, কেউ কেউ যাচ্ছেন জেন্টস পার্লারেও।

কিন্তু প্রতি দশজনের প্রায় চারজন ভুগছেন চুল পড়ার সমস্যায়। একে স্বাভাবিক ধরে নিয়ে পাশ কাটালে নিজের ভাল থাকাকে অবহেলা করা হয়। আর কথায় আছে আগে দর্শনধারী পরে গুণ বিচারী, তাই নিজের সৌন্দর্য ধরে রাখতে চুল পড়া কমিয়ে ঘনত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করা ভাল।  

কিছু বিষয় মেনে চললেই হতে পারে চুলের কয়েকটি সমস্যার সমাধান। পুরুষের চুলের যত্নে ৫ উপায়:

চুলের ঘনত্ব চাইলে ধূমপান নয়

ধূমপান স্মার্টনেস এমন ভাবাটাই সবচেয়ে বড় আনস্মার্ট ব্যাপার। তবে দুঃখজনক যে দেশের তরুণদের অধিকাংশই ধূমপানের দিকে ঝুঁকছে। ফলে দেহের ভেতরে যেমন প্রভাব পড়ছে তেমনি দীর্ঘদিনের ধূমপানের প্রভাব দেখা যাচ্ছে তাদের মাথাতেও! হাল্কা হয়ে আসছে হেয়ারলাইন, অর্থাৎ বাড়ছে চুলপড়া। ধূমপানের ফলে আপনার মাথায় সঠিক মাত্রায় রক্তপ্রবাহ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। ফলে চুল পুষ্টি বঞ্চিত হচ্ছে, প্রাণহীন হয়ে গোড়া শুকিয়ে যাচ্ছে। তাই চুল বাঁচাতে চাইলে ধূমপান ছাড়ুন। ধূমপান ছাড়ার ৩ মাস পর থেকে চুলের যত্ন নিতে শুরু করুন। মাথায় কয়েকদিন পর পর তেল দিন, চিরুনি ব্যবহার করুন। এতে মাথার রক্ত সঞ্চালন বাড়বে, সেই সঙ্গে ঠিক থাকবে চুলের বৃদ্ধি।

চুল সুস্থ রাখতে বেশি করে পানি পান   

শুধু চুলপড়া নয়, দিনে সঠিক পরিমাণে পানি আপনার ত্বকের সমস্যাও সমাধান করে। তাই সবার উচিৎ সারাদিনে পরিমাণমতো পানি খাওয়া। দেহে পানির ঘাটতি দেখা দিলে হেয়ার গ্রোথ ও হেয়ার ফলের মতো সমস্যা হতে পারে। তাই দিনে অন্তত তিন লিটার পানি পান করবেন। আর শরীরে তরলের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে ফ্রুট জুসও খেতে পারেন।

চুলের ঘনত্বে সবুজ চা

নিজের ফিটনেস ধরে রাখতে অনেকেই নিয়মিত গ্রিন টি খান। কিন্তু আপনার চুলকে ফিট রাখতেও গ্রিন টি-র বিশ্বজোড়া কদর রয়েছে। বিশেষ করে চুল পড়া কমাতে গ্রিন টি খুবই উপকারী। তবে খেতে হবে না। মাঝারি মাপের কাপে গরম পানি নিয়ে, তাতে দু’টি টিব্যাগ দিয়ে দিন। ঠাণ্ডা হলে মাথার ত্বকে দিন। ৮-১০ দিন ব্যবহারে সুফল মিলবে চুলে। কমে যাবে আপনার চুল পড়ার হার।

চুলের বন্ধু অ্যালোভেরা

অ্যালোভেরার মাঝে লুকিয়ে আছে হেয়ারফল আটকানোর দুর্দান্ত রসদ। সপ্তাহে ৩-৪ দিন গোসলের আগে অ্যালোভেরা ব্যবহার করলে চুল দূষণমুক্ত হবে। ফলে হেয়ারফল কমে যাবে। সেই সঙ্গে গ্রে-হেয়ার সমস্যা হ্রাস পাবে। চাইলে অ্যালোভেরা সরাসরি ব্যবহার করতে পারেন। অ্যালোভেরার পাতার জেলি বের করে সামান্য পানি মিশিয়ে একদিন ফ্রিজে রেখে দিন। এর পরদিন গোসলের ৩০ মিনিট আগে চুলে লাগাতে পারেন।

চুলের প্রয়োজনে ভরসা পেঁয়াজে

পেঁয়াজে প্রচুর পরিমাণে জীবাণুনাশক উপাদান থাকে। এই পেঁয়াজের রস হেয়ার গ্রোথে ও নতুন চুল তৈরিতে অব্যর্থ। এ ছাড়া পেঁয়াজে থাকা সালফার চুল পড়া, চুলের ভেঙে যাওয়া ও অকালে চুল পড়ে যাওয়া আটকায়। পেঁয়াজের রস চুলের সঠিক পিএইচ লেভেল বজায় রাখতে সাহায্য করে। চুলের গোড়ায় প্রদান করে পুষ্টি। তাই খুব কম সময়ে ঘনত্ব বাড়ে চুলের। সপ্তাহে ৩ দিন রাত্রে শুতে যাওয়ার আগে মাথায় হালকা করে লাগিয়ে নিন পেঁয়াজের রস অথবা অনিয়ন অয়েল। মাসখানেকের মধ্যেই তফাৎ আপনার চোখে পড়বে। – দেশ রূপান্তর

এই বিভাগের অন্য খবর

এছাড়াও দেখুন
Close
Back to top button