ধর্ম

মৃত মা-বাবার জন্য যা করবেন

যাদের মা-বাবা পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন-চোখের পানি ফেলে তাদের জন্য বিলাপ করে কী লাভ! বুক চাপড়ে জামা ছিঁড়ে তাদের কোনো উপকার করা আদৌ সম্ভব নয় আমাদের জন্য।

তাই ইসলাম মৃত মা-বাবার জন্য আমল বলে দিয়েছে। যেসব আমলের মাধ্যমে তারা কবরে শুয়ে থেকেও অফুরান সওয়াবের ভাগিদার হতে পারবেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, মানুষ যখন মৃত্যুবরণ করে তখন তার আমলের সুযোগও বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু তিনটি আমলের সওয়াব বন্ধ হয় না।

১. সদকায়ে জারিয়া (প্রবহমান দান)। ২. এমন জ্ঞান, যা দ্বারা মানুষ উপকৃত হয়, ৩. নেক সন্তান, যে তার পিতা-মাতার জন্য দোয়া করে। (আবু দাউদ, হাদিস : ২৮৮০)। মা-বাবার জন্য সন্তানের দোয়ার কারণে পরকালে মা-বাবার মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহতায়ালা জান্নাতে নেক বান্দার মর্যাদা উন্নত করেন। তখন সে বলে, হে রব! আমার এটা (মর্যাদা) কীভাবে হলো? আল্লাহ বলেন, তোমার জন্য তোমার সন্তানের ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যমে। (মুসনাদ আহমাদ, হাদিস : ১০৬১৮)।

এজন্য প্রতিটি সন্তানের উচিত মা-বাবার জন্য নিয়ম করে দোয়া করা। আমি যে দোয়াই করি না কেন? যখনই আল্লাহর কাছে হাত ওঠাব বা নীরবে আল্লাহর সঙ্গে কথা বলব-সব সময় মা-বাবার কথা মনে রাখব। এটা সন্তানের ওপর মা-বাবার অধিকারও বটে।

মা-বাবার জন্য আমরা কী দোয়া করব? পবিত্র কুরআনে আমাদের সে শিক্ষাও দিয়েছে। সূরা বনি ইসরাইলের ২৪ নং আয়াতে এসেছে-‘রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বাইয়ানি সাগিরা’ অর্থ : হে আমার রব! তুমি তাদের প্রতি দয়া করো যেমন তারা আমাকে ছোটকালে দয়াবশে প্রতিপালন করেছিলেন।’

দোয়ার পর সবচেয়ে বড় যে কাজ হলো মা-বাবার জন্য সদকা করা। আয়েশা (রা.) বলেন, এক ব্যক্তি নবি করিম (সা.)কে বলেন, আমার মায়ের আকস্মিক মৃত্যু ঘটে। কিন্তু আমার বিশ্বাস তিনি (মৃত্যুর আগে) কথা বলতে সক্ষম হলে কিছু সদকা করে যেতেন। এখন আমি তার পক্ষ থেকে সদকা করলে তিনি এর নেকি পাবেন কি? তিনি বলেন, হ্যাঁ। (বুখারি, হাদিস : ১৩৮৮)।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button