প্রধান খবরবগুড়া জেলা

বগুড়ায় চালের দাম নির্ধারণ করে দিল জেলা প্রশাসন, বেশি নিলেই কঠোর ব্যবস্থা

বগুড়ায় ভোক্তা পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের চালের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। বাজারে চালের দাম বেশি নিলে ব্যবসায়ী ও চাল নিয়ে গুজবকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে জেলা প্রশাসন ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে ধান ও চালের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা, অটোমেটিক ও হাস্কিং মিল চালু করতে মালিক-আমদানিকারক-আড়তদার-ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়সভা এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম মতবিনিময়সভায় সকলের সঙ্গে কথা বলে চালের দাম নির্ধারণ করে দেন।

চালের নির্ধারিত দামগুলো হলো, কাটারি ও স্পেশাল মিনিকেট/জিরা চাল মিলার পর্যায়ে ৬২ টাকা, পাইকারি পর্যায়ে ৬৩ টাকা ও ভোক্তা পর্যায়ে ৬৫ টাকা; বিআর-২৮ ও ৪৯ চাল মিলার পর্যায়ে ৫২ টাকা, পাইকারি পর্যায়ে ৫৩ টাকা ও ভোক্তা পর্যায়ে ৫৪ থেকে ৫৫ টাকা, স্বর্ণা-৫ চাল মিলার পর্যায়ে ৪৬ টাকা, পাইকারি পর্যায়ে ৪৭ টাকা ও ভোক্তা পর্যায়ে ৪৮ থেকে ৪৯ টাকা এবং চিনিগুড়া চাল ভোক্তা পর্যায়ে সর্বোচ্চ ১১৫ টাকা কেজি প্রতি দাম নির্ধারণ করা হয়।

সভায় জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম সভাপতির বক্তব্যে বলেন, গুজব বা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে চালের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সঠিক মূল্যে ভোক্তাদের হাতে চাল পৌঁছতে হবে। বগুড়ায় চালের কোনও সংকট নেই। বগুড়ায় উৎপাদিত চাল দেশের বিভিন্নস্থানে পাঠানো হয়। আর সেখানে চালের সংকট কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোতাহার হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নিলুফা ইয়াসমিন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মেজবাউল করিম, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাজী সাইফুদ্দিন, সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজা পারভীন, জেলা ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রেজভী, সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মনিরুল হকসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ও বগুড়া জেলার রাইস মিল মালিক, পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়ীরা।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button