বগুড়ায় ফেরিওয়ালাকে কুপিয়ে হত্যা
ধুনট প্রতিনিধি: বগুড়ার ধুনটে গোলাম রব্বানী (৩৫) নামে এক ফেরিওয়ালাকে ফাঁকা রাস্তায় মোটর সাইকেলের উপর কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
নিহত গোলাম রব্বানী উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়নের নাংলু গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে।
শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে ৫ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার দিকে উপজেলার নাংলু গ্রামের ফাঁকা রাস্তায় প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে কুপিয়ে আহত করে ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোলাম রব্বানী মোটর সাইকেলে চড়ে দীর্ঘদিন ধরে গ্রামে গ্রামে ঘুরে হাঁস-মুরগীর রোগ নিরাময় ও ইদুর মারার ঔষধ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। সেই সুবাদে নাংলু গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে মশিউর রহমানের স্ত্রীর সাথে গোলাম রব্বানীর পরিচয় হয়। মাঝে মধ্যেই মশিউরের স্ত্রীকে কু-প্রস্তাব দেয় গোলাম রব্বানী।
এ অবস্থায় ২০২৩ সালের ১৯ মে রাত ৯টার দিকে মশিউর রহমানের স্ত্রী বাড়ির গোসলখানার ভেতর হাত-মুখ পরিস্কার করতে থাকেন। এ সময় গোলাম রব্বানী ও তার সহযোগী বাবু মিয়া গোসলখানায় প্রবেশ করে মশিউরের স্ত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় মশিউর রহমান বাদি হয়ে গোলাম রব্বানী ও বাবুর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়। থানায় অভিযোগ করায় মশিউরের রহমানের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন গোলাম রব্বানী। এক পর্যায়ে ২০২৩ সালের ২৯ জুন দুপুরের দিকে গোলাম রব্বানী ও তার লোকজন মশিউর রহমানকে কুপিয়ে জখম করে।
এ ঘটনার জের ধরে ৫ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার দিকে গোলাম রব্বানী পেশাগত কাজ শেষে মোটর সাইকেল চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে নাংলু গ্রামে ফাঁকা রাস্তায় পৌছলে মোটর সাইকেলের উপর গোলাম রব্বানীকে কুপিয়ে আহত করে রাস্তার পাশে পুকুরের পানিতে ফেলে দেয় মশিউর রহমান ও তার লোকজন। স্বজনরা ঘটনাস্থল তাকে থেকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ দুপুরের দিকে গোলাম রব্বানীর মৃত্যু হয়।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈকত হাসান বলেন, দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। এ ঘটনার জের ধরে প্রতিপক্ষর লোকজনের হামলায় আহত গোলাম রব্বানী মারা গেছেন। এ ঘটনায় আইনী প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।