বগুড়ায় ভ্যালেনসিয়া জাতের আলু চাষে অধিক লাভের প্রত্যাশা কৃষকের
স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়ায় প্রতিবছর স্ক্যাব সহ অন্যান্য রোগের প্রাদুর্ভাবে কৃষকদের আলু চাষে লোকসান গুনতে হয়। তবে এবার ‘ভ্যালেনসিয়া’ জাতের আলুর চাষ করে অধিক লাভের আশায় চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে।
বগুড়ার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায় এবার অনেক কৃষকই নতুন এই জাতের আলু চাষ করছেন।
মঙ্গলবার জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার কুন্দরহাটে ফসলি মাঠে এসিআই সীডের ভ্যালেনসিয়া জাতের আলুর মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে গিয়ে কথা হয় কৃষক হাসান এর সাথে।
তিনি বলেন, প্রতিবছর অন্যান্য জাতের আলুর চাষ করতেন। সেখানে প্রতি বিঘায় উৎপাদন হতো ৭০ থেকে ৮০মন। আর খরচ হতো প্রায় ৩২ হাজার টাকা। এইবার প্রথম এসিআই সীডের ভ্যালেনসিয়া ১০ জাতের ৬ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছেন। প্রতি বিঘায় খরচ হয়েছে প্রায় ২৫-২৬ হাজার টাকা। প্রতি বিঘাতে আলু নামবে প্রায় ১২০ থেকে ১৩০ মণ। রোগবালাই ও খরচ কম হওয়ায় এবার লাভ হবে বেশি।
এছাড়াও বীজ ব্যবসায়ী ফিরোজ মাষ্টার বলেন, ভ্যালেন্সিয়া আলু খেতে ভালো এবং আগাম আলু হওয়ায় কৃষকরা ভাল লাভ করতে পারবেন।
নতুন এই জাত প্রসঙ্গে এসিআই সীডের পোর্টফলিও ম্যানেজার কৃষিবিদ গোলাম মোস্তফা বলেন, ভ্যালেনসিয়া আলু চাষে কৃষকরা কম খরচে বেশি ফলন পাবেন কারণ এটিতে অন্যান্য জাতের চেয়ে ৩০% পানি ও সার কম লাগে। ভ্যালেনসিয়া ডায়মন্ডের সাদৃশ্যপূর্ণ হলেও ডায়মন্ডের অপেক্ষা ২৫-৩০ দিন আগে বাজারে আসে তাই বাজারমূল্য বেশী। এটি ডায়মন্ডের সাদৃশ্যপূর্ণ হলেও এর অনন্য কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। এছাড়া ভ্যালেনসিয়া জাতের এ আলু হেক্টর প্রতি ফলন প্রায় ৩৯ মেট্রিক টন যা বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় জাত ডায়মন্ডের চেয়ে ৩৮ গুণ বেশী। প্রতিটি আলুর গড় ওজন প্রায় ১০০ গ্রাম। এছাড়াও শুরু থেকেই নতুন এই জাতের আলু চাষে সাধারণ কৃষকদের থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার কথাও জানালেন এসিআই সীডের এরিয়া ম্যানেজার মোহাম্মদ নুরুন্নবী।
নতুন এই জাতের আলু চাষ নিয়ে জানতে চাইলে নন্দীগ্রাম উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি অফিসার অপুর্ব ভট্রাচার্য বলেন, ভ্যালেনসিয়া জাতটি যেহেতু টেবিল ও ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবহার উপযোগী আলু তাই এটি চাষ করে আমদানী করলে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব। এই আলুর জাত চাষ করলে কৃষকরা আরো বেশি অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হবেন।