ধুনটে ঐতিহ্যবাহী তেকানী মেলা
ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি: আজ ২৮ই ফেব্রুয়ারি বুধবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে বগুড়ার ধুনট উপজেলার সবচেয়ে বড় ঐতিহ্যবাহী পুরানো তেকানী মেলা। মেলার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন মেলার আয়োজকরা।
লাখো মানুষের পদচারণায় এক উৎসবমুখর পরিবেশে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। মেলার মূল আকর্ষণ হলো বাঘাইড় মাছ। কিন্তু গতবারের মেলায় বাঘাইড় মাছ কেনাবেচা করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তার পরেও এবাবের মেলায় মূল আকর্ষণ ছিলো ৪৪ কেজি ওজনের বাঘাইড় মাছ। মাছ বিক্রেতা দাম হাকছেন ১৪০০ টাকা কেজি দরে।
জানা যায়, ধুনট উপজেলার নিমগাছী ইউনিয়নের বেড়েরবাড়ী ফুরকানিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন সম্পূর্ণ ব্যক্তি মালিকানা জমিতে একদিনের জন্য মেলাটি বসে। মেলাটি একদিনের হলেও আমেজ থাকে ৩ দিন। বাংলা তারিখ অনুযায়ী প্রতি বছরের ফাল্গুন মাসে বুধবারে মেলাটি হয়ে থাকে। মেলা উপলক্ষে আশপাশের গ্রামের প্রতিটি বাড়ীতে নাইয়োড়ী,আত্মীয়-স্বজন এসে মিলিত হন। ঈদ বা অন্য কোন উৎসবে জামাই মেয়েদের কিংবা নিকট আত্মীয়দের দাওয়াত না দিলেও চলে, কিন্তু তেকানী মেলায় দাওয়াত দিয়ে ধুমধাম করে খাওয়াতেই হবে-যা অনেকটা রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। এই মেলাকে ঘিরে উপজেলায় বেশ কয়েকটিস্থানে যত্রতত্রভাবে মেলা বসানো হয়েছে,যা বৈধ নয়।
মেলার মূল আকর্ষণ হলো রুই, কাতলা, মৃগেল, বোয়াল, সিলভারকার্পসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জাতের বড় বড় মাছ। মিষ্টি মিঠাই মন্ডার আকর্ষণ হলো, মাছ আকৃতির ১৫/২০কেজি ওজনের মিষ্টি। এছাড়াও মেলায় কাঠ বা ষ্টীলের র্ফানিচার, বড়ই (কুল), কৃষি সামগ্রীসহ হরেক রকমের আসবাবপত্র পাওয়া যায়। মেলায় আয়োজন করা থাকে বিনোদনমূলক সার্কাস, নৌকা খেলা, যাদু ও নাগোরদোলা।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিক খান ও ধুনট থানার ওসি সৈকত হাসান জানান, মেলাটি সুন্দর ও সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে আইন শৃঙ্গলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্বারা কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। মেলায় নাগরদেলা, চরকি, সার্কাসসহ শিশুদের জন্য অন্যান্য খেলা খাকবে। কিন্তু এ সবের আড়ালে কোন প্রকার জুয়া অথবা অশ্লীল কোনকিছু হবে না।