পবিত্র রমজানের আগে যেসব প্রস্তুতি নেয়া দরকার
কয়েক দিন পরই শুরু হতে যাচ্ছে পবিত্র মাহে রমজান। মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাস। এ সময় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকতে হয়। এর সঙ্গে সারা বছরের মিল না থাকায়, সবটা সামলানো কিছুটা কঠিন হয়ে যায়।
ফলে অতিরিক্ত কাজের চাপে রোজা রাখা ও ইবাদত পালনে বিঘ্ন ঘটে। তাই রোজায় চাপমুক্ত থাকতে কিছু কৌশল অবলম্বন করতে পারেন। চলুন জেনে নিই সেগুলো কী কী:
শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতি
রমজানে শুরুতেই শারীরিক সুস্থতার দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। কারণ, এসময় অসুস্থ হলে রোজা রাখা কষ্টকর হয়ে যাবে। সেইসঙ্গে প্রয়োজন মানসিক প্রস্তুতিও। তাই রমজানের প্রস্তুতি হিসেবে আগেই প্রশান্তিদায়ক পরিবেশ তৈরি করুন। কথা কম বলা ও ঝামেলাপূর্ণ বিষয় এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। আত্মীয় ও বন্ধু-পরিজনের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করুন। মন ভালো থাকে এ ধরনের কাজ করুন। পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার খান। পানি পান করুন নিয়মিত। অলসতা ঝেড়ে ফেলুন। কাজে ব্যস্ত থাকলে মনও ভালো থাকবে। সব সময় ইতিবাচক চিন্তা করুন। এতে সবকিছু সহজ মনে হবে।
খাবার
রোজার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে খাবার। এসময় খাবারের প্রতি সচেতন হতে হবে। অনেকে বাইরে তৈরি ভাজাপোড়া ও মসলাদার খাবার খেয়ে থাকেন, যা অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। এর ফলে আপনি অসুখে পড়তে পারেন। তাই সতর্ক হতে হবে।
রমজান মাসে রোজা রেখে অনেক ধরনের খাবার তৈরি করাও কষ্টকর। তাই কিছু খাবার আগেই প্রস্তুত করে রেখে দিতে পারেন। প্রয়োজনে পুরো রমজানের বাজার একবারে করে রাখতে পারেন। এতে রোজা রেখে বারবার বাজার করতে যেতে হবে না। এরপর কিছু ইফতারের পদ তৈরি করে ফ্রিজে রাখতে পারেন। তাতে কাজ অনেকটাই কমে যাবে। ফলে আপনি ইবাদতের জন্য পর্যাপ্ত সময় পাবেন।
শিশুদের জন্য
রোজায় শিশুদের খাবার ও অন্যান্য বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ শিশুরা রোজা রাখতে পারে না। তাদের খাবারে যেন কষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। এসময় রোজা রেখে শিশুর জন্য খাবার তৈরি করাটা কষ্টকর। তাই শিশুর পছন্দের কিছু খাবার আগেই তৈরি করে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। আবার যেসব খাবার সহজে তৈরি করা যায়, সেগুলোও কিনে রাখতে পারেন।সেইসঙ্গে ফল, সবজি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় খাবারও শিশুর জন্য রাখুন।
পরিচ্ছন্নতা
রমজানে পরিচ্ছন্নতার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। ইবাদতের জন্য ঘরবাড়ি পরিষ্কার থাকা জরুরি। এতে মনও ভালো থাকে। একমনে প্রার্থনা করা যায়। তাই রোজা শুরু হওয়ার আগেই ধুলা-ময়লা ঝেড়ে চকচকে করে রাখুন। আসবাবপত্র নিয়মিত মুছুন। বিছনার চাদর, বালিশের কভার, পর্দা এবং এ জাতীয় যা আছে সেগুলো আগেই ধুয়ে রাখতে পারেন। এতে রমজানে কষ্ট কম হবে। সূত্র: দেশ টিভি