শেরপুরে নব-বৃন্দাবনপাড়ায় ৩২ প্রহরব্যাপী মহানামযজ্ঞানুষ্ঠান শুরু
নাজমুল হুদা নয়ন (শেরপুর প্রতিনিধি): বগুড়ার শেরপুরে কলিযুগে মানুষ ধর্মের অমৃত বাক্য ভুলে গিয়ে আজ পঙ্কিল ও পরিত্রাণহীন অন্ধকারের দিকে ধাবিত হচ্ছে। অর্থবিত্ত, লোভ ও লালসার তুচ্ছ মোহে আবদ্ধ মানুষদের সত্য সুন্দরের পথ খুঁজে পেতে চায়। এ লক্ষ্যে উপজেলার নব-বৃন্দাবনপাড়ার শ্রীশ্রী মহাপ্রভুর মন্দির ও আখড়া প্রাঙ্গনে ১০ মার্চ রবিবার সূর্যোদয় থেকে ৩২ প্রহরব্যাপী মহানামযজ্ঞানুষ্ঠান শুরু হয়েছে।
এর আগে ৯ মার্চ শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বগুড়া-৫ আসন শেরপুর-ধুনট নির্বাচনী এলাকার সাংসদ বগুড়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মজিবর রহমান মজনু এ মহতী অনুষ্ঠানের মঙ্গল শোভাযাত্রার শুভ সূচনা করেন। পরে বর্ণাঢ্য মাঙ্গলিক শোভাযাত্রাটি শেরপুরের নব-বৃন্দাবনপাড়ায় থেকে বের হয়ে পুরো শহর প্রদক্ষিণ করে।
এ সময় শেরপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব জানে আলম খোকা, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহ জামাল সিরাজী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আআলহাজ্ব সাইফুল বারী ডাবলু, জেলা মহিলা লীগের সহ-সভাপতি শিল্পী রহমান, হিন্দু বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের শেরপুর উপজেলা শাখার সভাপতি পরিমল দত্ত, সাপ্তাহিক তথ্যমালা পত্রিকার সম্পাদক সুজিত বসাক, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম সানি, হরিবাসর উৎসব পরিচালনা কমিটির প্রধান পৃষ্টপোষক দুতীরাম সরকার, সভাপতি সাংবাদিক দীপক কুমার সরকার, সাংবাদিক বিমান কুমার মৈত্র, উত্তম সরকার, হরিবাসর উৎসব পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক লালন সরকার, কমিটির অন্যতম সদস্য সুবাস রাজবংশী, চেতন রাজবংশী, উজ্জল রাজবংশী, রঞ্জন রাজবংশী প্রমুখ সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
হরিবাসর উৎসব পরিচালনা কমিটির সভাপতি দীপক কুমার সরকার বলেন, ৪দিন ব্যাপী এ মহতী অনুষ্ঠানে দেশের সুনামধন্য কির্তনীয়া দল সমূহ তাদের কীর্তণ পরিবেশন করবেন। অনুষ্ঠানে প্রতিদিনই আগত ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয়ে থাকে। তবে আগামী ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার শ্রীশ্রী মহাপ্রভুর ভোগঅন্তে মহাপ্রসাদ বিতরণের মধ্য দিয়েই এ অনুষ্ঠানের সমাপনী হবে। এছাড়াও অনুষ্ঠানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অটুট বন্ধন সুদৃঢ় করতে স্থানীয় প্রশাসন, রাজনৈতিক, বিভিন্ন পেশাজীবিদের কাছে সার্বিক সহযোগীতা কামনা করেন।