জাতীয়প্রধান খবর

জানা গেলো জলদস্যুদের কাছে যে অবস্থায় আছেন জিম্মি নাবিকরা

সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর নাবিকদের সামনে জলদস্যুরা অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আশপাশে নেভি জাহাজ দেখলেই তারা মাথায় অস্ত্র ঠেকাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার বিকালে জাহাজের চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খান পরিবারের কাছে পাঠানো এক অডিও বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন।

অডিও বার্তায় জানানো হয়, নাবিকরা এখন একটি কেবিনে রয়েছেন। এখন পর্যন্ত জলদস্যুরা তাদের ওপর কোনো ধরনের শারীরিক নির্যাতন করেনি। তবে অস্ত্রের মুখে তাদের কথা মেনে চলতে বাধ্য করছে জানিয়েছেন আতিকুল্লাহ খান।

চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খান তার পরিবারের কাছে পাঠানো অডিও বার্তায় বলেন, “আমি যেখানে ঘুমাই সেখানে পাশ ফিরলেই দেখতে পাই আমার দিকে বড় বড় মেশিনগান তাক করে রেখেছে।”

জাহাজে খাবারের মজুত বিষয়ে তিনি বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ, এখনো খাবার আছে। কিন্তু, যেহেতু জলদস্যুরাও আমাদের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করছে, আমাদের পানি ব্যবহার করছে, আমাদের খাবার আর কতদিন যাবে সেটা বলতে পারছি না। আর হয়তো ১০-১৫ দিন যেতে পারে।”

এদিকে, বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে অণুসরণ করছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) মেরিটাইম সিকিউরিটি ফোর্সের একটি যুদ্ধজাহাজ। কয়েক দফায় জলদস্যু ও নৌবাহিনীর (নেভি) সদস্যদের মধ্যে গোলাগুলিও হয়। একপর্যায়ে জিম্মি বাংলাদেশি নাবিককে একে একে হত্যার হুমকি দেয় জলদস্যুরা। এরপর পিছু হটে নেভির যুদ্ধজাহাজটি।

সোমালিয়ার স্থানীয় সময় বুধবার রাত থেকে নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজটি অনুসরণ করছে। ২০ নটিক্যাল মাইল দূর থেকে বাংলাদেশি পতাকাবাহী ‘এমবি আব্দুল্লাহ’কে অনুসরণ করে যায় নেভির জাহাজটি।

কেএসআরএমের মালিকানাধীন জাহাজটিকে ইতোমধ্যে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে গেছে জলদস্যুদের। গতকাল বৃহস্পতিবার এক জিম্মি নাবিকের পাঠানো মেসেজ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

জাহাজটি কোন দেশের তা নিশ্চিত হতে পারেননি জিম্মি ওই নাবিক।

উল্লেখ্য, ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুরা ২৩ জন নাবিকসহ বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করে।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button