অর্থ আত্মসাৎ করেনি অভিনেতা অপূর্ব
ছোট পর্দার অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্বর নামে চুক্তি ভঙ্গ করে অর্থ আত্মসাৎ ও শিডিউল ফাঁসানোর অভিযোগ এনেছিল প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আলফা আই স্টুডিওস লিমিটেড (আলফা আই)। ২৪টি নাটকের জন্য ৫০ লাখ টাকায় চুক্তিবদ্ধ হয়ে মাত্র নয়টিতে কাজ করে ৩৩ লাখ টাকা নিয়ে সব ধরনের যোগাযোগ থেকে বিরত ছিলেন অপূর্ব, এমন তথ্য দিয়ে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ তোলে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে টেলিভিশন অ্যান্ড ডিজিটাল প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টেলিপ্যাব) এবং অভিনয় শিল্পী সংঘের কাছে বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন আলফা আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার করিম ভূঁইয়া (শাহরিয়ার শাকিল)।
গেল সোমবার (১১ মার্চ) অভিযোগ জানান তিনি।
খবরটি প্রকাশ্যে আসতেই নাটকপাড়ায় বেশ আলোচনার জন্ম দেয়। ইস্যুটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ চর্চা হয়।বিষয়টি সমাধানের দায়িত্ব নেয় টেলিপ্যাব ও অভিনয় শিল্পী সংঘ। শনিবার (১৬ মার্চ) মধ্যরাত পর্যন্ত উভয় পক্ষকে নিয়ে মিটিংয়ের পর বিষয়টির সমাধান করেন তারা।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠন দুটি জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে অভিনয়শিল্পী জিয়াউল ফারুক অপূর্ব এবং প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আলফা আই স্টুডিওস এর মধ্যেকার সংঘটিত কাজের চুক্তি বিষয়ক যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল তাতে উভয় পক্ষই প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশান অব বাংলাদেশ (টেলিপ্যাব) ও অভিনয়শিল্পী সংঘ বাংলাদেশের কাছে অভিযোগ দেয়।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার টেলিপ্যাব ও অভিনয়শিল্পী সংঘের কার্যালয়ে দুই পক্ষের উপস্থিতিতে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, চুক্তি মোতাবেক দুই পক্ষই পরিপূর্ণভাবে কার্য সম্পাদন করেনি। চুক্তি অনুযায়ী জিয়াউল ফারুক অপূর্ব নয়টি নাটকে অভিনয় করেছেন। বাকি নাটকগুলো উভয় পক্ষই আর না করবার বিষয়ে একমত হয়েছে। সেক্ষেত্রে অভিনয়শিল্পী অপূর্বকে প্রদান করা বাকি যে নাটক বাবদ অগ্রিম অর্থ তা উভয় পক্ষ সমন্বয় করে নেবে।
সবশেষ বলা হয়েছে, উদ্ভূত ঘটনা কোনোভাবেই অর্থ আত্মসাৎ নয়, এটা চুক্তি বিষয়ক জটিলতা। পুরো বিষয়টি পারস্পরিক যোগাযোগ ও সমন্বয়হীনতার কারণে ঘটেছে।