ঈদ যাত্রায় যেসব বিষয় মাথায় রাখা জরুরি
রমজানের পর কড়া নাড়ছে মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। ঈদ মানেই আনন্দ ও খুশির জোয়ার। সবাই চায় এই সময়টাতে পরিবার পরিজনের সাথে খুশির সময়টা ভাগাভাগি করতে।
আর তাই ঈদকে সামনে রেখে সবাই নাড়ীর টানে বাড়ি ফিরা শুরু করেছেন। তবে ঈদে যারা বাড়িতে যাবেন, তাদেরকে অবশ্যই ঈদ যাত্রায় সতর্ক থাকা প্রয়োজন। না হলে বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে ঈদটাই মাটি হয়ে যেতে পারে।
ঈদে যেসব বিষয় মাথায় রাখা জরুরি
১. ভ্রমণের সময় ও কতদিন থাকবেন সেটা বিবেচনা করে শুধুমাত্র জরুরি জিনিস নেওয়া শ্রেয়। অপ্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে ব্যাগ ভারী করা উচিত নয়। অবশ্যই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ এমনকি ছোট বাচ্চা বা বয়স্কদের জন্য যা যা দরকার, তা সঙ্গে রাখা উচিত।
২. গরমে ভ্রমণের সময় হালকা, আরামদায়ক ও সহজে বাতাস চলাচল করতে পারে এমন পোশাক পরা উচিত। নরম জুতা বা স্যান্ডেল পরা উচিত। মেয়েদের জন্য হাইহিল পরিহার করে ফ্ল্যাট পরা উচিত।
৩. গন্তব্যস্থল দূরে হলে ঘরের তৈরি খাবার ও পানির বোতল সঙ্গে নেওয়া উচিত। প্রয়োজন অনুযায়ী বিশুদ্ধ পানি পান করুন এবং বাচ্চাদেরও পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করাবেন। ভ্রমণে খাদ্য ও পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধের ব্যাপারে সচেষ্ট থাকতে হবে বেশি। এছাড়া বাহিরের মানুষের দেওয়া খাবার একদম না খাওয়া উচিত।
৪. রোজা রেখে ভ্রমণ করলে অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে খাবার এবং প্রয়োজনীয় পানীয় সঙ্গে রাখুন, যেন ইফতারের সময় বাইরের খাবার খেতে না হয়।
৫. ভ্রমণের সময় অতি জরুরি ও প্রয়োজনীয় কিছু ওষুধ এবং ফার্স্ট এইড বক্স নেওয়া উচিত। কারণ রাস্তায় অনেক সময় ওষুধ পাওয়া যায় না। প্যারাসিটামল, বমির ওষুধ, গ্যাসের ওষুধ, ডায়রিয়ার জন্য ওরাল স্যালাইন ইত্যাদি সঙ্গে রাখুন। এছাড়া তুলা, গজ, ব্যান্ডেজ, স্যাভলন ইত্যাদি সংগ্রহে রাখুন।
৬. ট্রেনে, বাসে কিংবা লঞ্চে ভ্রমণের সময় শিশুদের বেশি সতর্ক অবস্থায় রাখতে হবে। বাইরের পানীয় ও খাবার একদমই দেয়া উচিত না। কারণ বাইরের খাবারে শিশুরা বমি ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়। খেয়াল রাখবেন, কোনো বাচ্চা যেন জানালা দিয়ে হাত বাইরে না রাখে।
৭. ঈদের সময় যাত্রাপথে মলম পার্টি ও ছিনতাইকারীদের আনাগোনা বেশি থাকে, তাই সতর্ক থাকুন। যানবাহনে অপরিচিত কেউ খাদ্য বা পানীয় দিলে খাবেন না।