আইন ও অপরাধপ্রধান খবরবগুড়া জেলা

বগুড়া থানায় হামলার মামলায় ৯ আসামি রিমান্ডে

বগুড়ায় পৃথক দুই মামলায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদ্য অব্যাহতি পাওয়া সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ওরফে নুরুর ছয়দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে থানায় হামলা চালানোর ঘটনায় গ্রেপ্তার করা বাকি আট আসামির তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।

বগুড়া জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ইনচার্জ মুস্তাফিজ হাসান জানান, থানায় হামলার ঘটনায় নুরু, সাদ্দাম হোসেন রবিন, রমজান আলী, সাইদুর রহমান খোকন, বোরহান উদ্দিন, সেরাজুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, মো. মিতুল এবং ওয়াবুজ্জামান রাতুলের তিনদিন করে রিমান্ড এবং অস্ত্র মামলায় নুরুর আরও তিনদিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

উল্লেখ্য, ৬ এপ্রিল রাতে ধারালো অস্ত্রসহ শাজাহানপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মিঠুন মিয়াকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তাকে থানায় নেওয়ার পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মাঝিড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুজ্জামান অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল বহর নিয়ে থানায় যান।
তারা পুলিশের ওপর হালমা করে থানা থেকে মিঠুনকে ছিনিয়ে নেওয়া চেষ্টা করেন।


খবর পেয়ে মহাসড়কে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা থানায় ফিরলে হামলাকারীরা দ্রুত থানা ত্যাগ করেন।


এরপর তারা মহাসড়কের মাঝিড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে অবস্থান নেন। সেখানে দুই শতাধিক লোকজন সমবেত হয়ে আবার থানার দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ ও র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) তাদের ধাওয়া করে। পরে সেখান থেকে নূরুজ্জামানসহ নয়জনকে আটক করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে নূরুজ্জামানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসানের বাড়ি থেকে একটি ম্যাগজিনে ভরা আট রাউন্ড গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল, তিন বোতল ফেনসিডিল ও এক কেজি গাঁজা এবং নূরুজ্জামানের বাড়ি থেকে একটি ম্যাগজিনে ভরা সাত রাউন্ড গুলিসহ আরও একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। তাদের হামলায় পুলিশের আট সদস্য আহত হন। এছাড়া ৩৬টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। এসব ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করেছে।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button