শিক্ষা

শরীফ-শরীফার গল্প বই থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে

৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রমে পড়াশোনা চলছে চলতি বছর থেকে। তবে, বছরের প্রথম থেকেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। সবচেয়ে বেশি সমালোচনা হয় সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সমাজবিজ্ঞান বইয়ের শরীফ শরীফার গল্পটি নিয়ে, যার বিচার-বিশ্লেষণের জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি করে দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

আলোচিত গল্পটি সপ্তম শেণির বই থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। গল্পে ব্যবহৃত ১৯টি শব্দ সমাজব্যবস্থার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ কমিটি। তবে, হিজড়াদের নিয়ে মানবিক গল্প পাঠ্যবইয়ে সংযুক্ত করার সুপারিশ তাদের। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা পড়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। শিগগিরই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

শরীফ-শরীফার গল্পে ১৯টি এবং শিক্ষা সহায়িকায় ২৪টি শব্দ সমাজব্যবস্থার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলে মত দেওয়া হয়েছে, যা বাদ দিলে আর গল্পই থাকে না । সেজন্য পুরো গল্প বাদ দিয়ে সমাজে হিজড়াদের অধিকারের বিষয়ে সচেতন করতে মানবিক গল্প সংযুক্ত করার সুপারিশ করেছে কমিটি।

এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম বলেন, ‘রিপোর্টটা দেওয়া হয়েছে মন্ত্রণালয়ে। মন্ত্রণালয় যেভাবে সিদ্ধান্ত দেবেন সেভাবে আমরা ব্যবস্থা নেব।’

এ ছাড়া ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যবইয়ে ১৪৭টি ভুল চিহ্নিত করেছে এনসিটিবি। এসব ভুলের  বিষয়ে স্কুলগুলোকে এরই মধ্যে জানানো হয়েছে।

এনসিটিবির চেয়ারম্যান বলেন, ‘সব স্কুলে জানানোর কথা, হয়তো প্রত্যন্ত অঞ্চলের কয়েকটি স্কুল না জানতে পারে। আমরা বিগত দিনে দেখেছি, মহাপরিচালক বরাবর এগুলো পাঠান। তারপর সেটা দ্রুত পাঠিয়ে দেওয়া হয়।’

শিক্ষা গবেষকরা বলছেন, পাঠ্যবইয়ে অসঙ্গতি ও ভুল বেশি হচ্ছে। গাফিলতির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

শিক্ষা গবেষক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘পাঠ্যপুস্তকে প্রতিবার ভুল হচ্ছে। প্রতিবার অনেক প্রশ্ন আসছে। তবে, একজনকেও শাস্তি পেতে দেখিনি।  শাস্তি হয় না বলেই এ জিনিসগুলো হয়। এখানে একটি গ্রুপ মনে হয় বিতর্ক তৈরি করার জন্যেই এই ভুলগুলো নিয়ে আসে।’  

নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়ণ পদ্ধতি নিয়েও নানা সমালোচনা হচ্ছে, যা এখনও চূড়ান্ত করতে পারেনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button