প্রধান খবরবগুড়া সদর উপজেলা

বগুড়ায় বন্ধুকে হত্যা, সবুজ সওদাগর গ্রেপ্তার

বগুড়ায় আলী হাসান হত্যা মামলার মূল আসামি সবুজ সওদাগরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার সবুজ  বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি৷ তার নামে দুইটি হত্যাসহ চারটি মামলা রয়েছে। 

শনিবার সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম।  

এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার বেলাইলের হাজীর মিল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ 

পুলিশ কর্মকর্তা শরাফত ইসলাম বলেন, ‘আলী হাসান এবং সবুজ দুজনে ঘনিষ্ট বন্ধু ছিলেন। এজন্য তাঁরা একে অপরের বাড়িতে যাতায়াত করতো। এক বছর আগে আলী হাসান যখন জেল হাজতে ছিল তখন সবুজের সাথে হাসানের স্ত্রীর মিতু বেগমের সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে এবং এক পর্যায়ে তাঁরা বিয়ে করে। এর মধ্যে আলী হাসান জামিনে বের হলে ওই ঘটনা জানতে পারে এবং সবুজের সাথে হাসানের কথা কাটাকাটি হয়। পরে তাঁরা দুজন আপোষ মীমাংসা করে আবারও আগের মত চলাফেরা করলেও ভেতরে ভেতরে সেই শত্রুতা থেকেই যায়।  এমতাবস্থায় গত মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সবুজ তাঁর শহরদিঘী বাড়িতে কৌশলে আলী হাসানকে ডেকে নেয়। সেই পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সবুজ  তাঁর বন্ধু আলী হাসানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসানকে মৃত ঘোষণা করেন। 

তিনি আরও বলেন, সবুজকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ আদালতে পাঠানো হবে। এছাড়া পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান আছে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়া সদরের শহরদীঘি এলাকায় বাড়িতে ডেকে নিয়ে জেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সভাপতি সবুজ সওদাগরের বিরুদ্ধে তাঁর বন্ধু আলী হাসানকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। নিহত আলী হাসান বগুড়া শহরের মালগ্রাম পশ্চিমপাড়া এলাকার জিন্নাহ মিঞার ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আলী জিন্না সবুজ সওদাগরকে প্রধান করে চারজনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। অন্য আসামিরা হলেন- সবুজের মা সিল্কী বেগম, সবুজের ভাই সম্রাট সওদাগর ও তাঁর স্ত্রী লিপি বেগম।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button