বগুড়ায় চাঁদার টাকা না পেয়ে মুদি দোকানিকে হত্যা, ৮ বছর পর দুই আসামির যাবজ্জীবন
বগুড়ায় চাঁদার টাকা না পেয়ে মুদি দোকানি রফিকুল হত্যা মামলায় দীর্ঘ আট বছর বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের জেল দেওয়া হয়।
সোমবার (২০ মে) বিকেল ৩টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক হাবিবা মন্ডল এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সারিয়াকান্দি উপজেলার ডোমকান্দি গ্রামের মোজ্জামেল হকের ছেলে তুহিন মিয়া ও দৌলতজ্জামানের ছেলে সুলতান মাহামুদ।
রায় ঘোষণার সময় তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
অ্যাড. হলি জানান, ২০১৫ সালের ২৮ আগস্ট রাত সোয়া ৮টার দিকে তুহিন ও সুলতান ডোমকান্দি গ্রামে রফিকুলের মুদি দোকানে আসেন। সেখান থেকে তারা এক প্যাকেট সিগারেট নেওয়ার পর চাঁদা হিসেবে ৫০ টাকা দাবি করেন। রফিকুল তাদের টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে সিগারেটের পাওনা টাকা দাবি করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তুহিন ও সুলতান দোকানের মধ্যেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে রফিকুলের পেটে ছুরিকাঘাত করেন। তার চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা দৌড়ে আসলে আসামিরা পালিয়ে যায়।
পরে আহত রফিকুলকে উদ্ধার করে প্রথমে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
এ ঘটনায় ১ সেপ্টেম্বর রফিকুলের ভাই ছায়েদ আলী বাদী হয়ে তুহিন ও সুলতানের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা করেন।
পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে রফিকুল মারা যান।
হত্যাচেষ্টার মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে পুলিশ গ্রহণ করে। তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১৬ সালের ৩০ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। দীর্ঘ আট বছর বিচারিক প্রক্রিয়ায় ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সোমবার (২০ মে) দুপুরে আদালত রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার পর দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলাটি পরিচালনা করেন বাদী রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি অ্যাড. নাছিমুল করিম হলি এবং আসামি পক্ষে অ্যাড. লুৎফে গালিফ আল জাহিদ মৃদুল এবং অ্যাড. আবু বক্কর সিদ্দিক।