গরমে গর্ভবতী নারীদের যেসব নিয়মকানুন মেনে চলা উচিত
দেশজুড়ে তীব্র গরমে দেখা দিচ্ছে স্বাস্থ্যগত নানা ঝুঁকি। শারীরিক নানা পরিবর্তনের কারণে সাধারণ মানুষের চেয়ে গর্ভবতী নারীরা এই গরমে একটু বেশি স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিতে রয়েছেন। সুস্থ শিশুর জন্মের জন্য গর্ভবতীর সুস্থতা নিশ্চিত করা জরুরি। এক্ষেত্রে পরিবারের সকল সদস্যের সহযোগিতা প্রয়োজন।
গ্রীষ্মের এই তীব্র তাপপ্রবাহে যেখানে আমাদের সকলেরই স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি এড়াতে বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ, সেখানে গর্ভবতী নারীদের প্রয়োজন বিশেষ কিছু যত্ন। এ সময়ে ঝুঁকিমুক্ত থেকে সুস্থ থাকতে কিছু নিয়মকানুন মেনে চলা অত্যাবশ্যক।
১. প্রতিটি গর্ভবতীর নারীর শারীরিক অবস্থা ভিন্ন ভিন্ন। তাই গর্ভাবস্থায় যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে আছেন তাঁর কাছ থেকে গরমে স্বাস্থ্যের যত্নে আপনার জন্য বিশেষ করণীয় সম্পর্কে জেনে নিন।
২. খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া গরমে বাইরে না যাওয়াই ভালো। প্রয়োজনে বাইরে যেতে হলে খুব সকালে বা বিকেলের পরের সময় বেছে নিতে পারেন। এ সময় তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকে।
৩. সারাদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। কিছুক্ষণ পরপর পানি পানের অভ্যাস করুন।
৪. বিশ্রামের মাত্রা বাড়িয়ে দিন। কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিশ্রাম নিন।
৫. ঢিলেঢালা সুতি কাপড় পরিধান করুন।
৬. হাঁটাচলা, ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম কমিয়ে দিন।
৭. প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ভাজাপোড়া না রেখে সহজপাচ্য এবং তরল খাবার বেশি রাখুন।
৮. এ সময় পানিশূন্যতা থেকে প্রস্রাবের ইনফেকশন হতে পারে। পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি, ফলের রস, স্যুপ ইত্যাদি তরলজাতীয় খাবার এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
৯. বাইরে গেলে ছাতা, হ্যাট, সানগ্লাস ও পানির বোতল সঙ্গে রাখুন।
১০. চা, কফি যতটা সম্ভব কম পান করুন।
১১. সবসময় এসি বা এয়ার কুলার বা ফ্যানের নিচে থাকার চেষ্টা করুন।
১২. প্রতিদিন অন্তত একবার গোসল করুন। গরমে ভিজে গেলে প্রয়োজনে ঠাণ্ডাপানি দিয়ে গা মুছে নিন।
১৩. খুব বেশি অবসন্ন বোধ করলে, চোখে ঝাপসা লাগলে, শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে, জিভ-গলা শুকিয়ে যাওয়ার অনুভূতি হলে, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া করলে, গর্ভস্থ শিশুর নড়াচড়া কমে গেলে সঙ্গে সঙ্গে নিকটবর্তী হাসপাতাল বা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক (গাইনি), চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ