ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল, চূড়ান্ত আঘাত সন্ধ্যার পর
বাংলাদেশ উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। এটি সর্বশেষ গতকাল শনিবার (২৫ মে) মধ্যরাতে পায়রা বন্দর থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে ছিলো বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রেমাল আজ দুপুর নাগাদ আঘাত হানতে পারে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়টি সন্ধ্যার পর চূড়ান্ত আঘাত আনতে পারে বলে জানানো হয়েছে। পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর, কক্সবাজার ও চট্টগ্রামকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আজ রবিবার (২৬ মে) আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় রেমাল গতকাল মধ্যরাতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর দিকে এগিয়ে ঘনীভূত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার। এটি দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছের এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। এ সময় উপকূলীয় এলাকায় ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৩৫ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝড়। চলতি প্রাক-বর্ষা মৌসুমে বঙ্গোপসাগরে এটিই প্রথম ঘূর্ণিঝড় হতে যাচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমানের স্বাক্ষর করা ৭ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের কাছাকাছি দ্বীপ ও চরগুলোর নিচু এলাকা স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুটের বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
উল্লেখ্য, বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবের দেশের সব বিভাগে আজ রবিবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।