এবার জুয়া কোম্পানির বিজ্ঞাপনে পরীমণি
কিছুদিন আগে দেশ ও আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ অনলাইন জুয়া কোম্পানির সাইটের বিজ্ঞাপন ও শুভেচ্ছা দূত হিসেবে নাম জড়িয়েছে জয়া আহসান, অপু বিশ্বাস ও নুসরাত ফারিয়ার। সেই রেশ কাটতেই জুয়া কোম্পানির সঙ্গে নাম জড়াল পরীমণির। একটি অনলাইন জুয়া কোম্পানির শুভেচ্ছা দূত হয়েছেন তিনি। সামাজিকমাধ্যমে খবরটি নিজেই জানিয়েছেন।
রোবাবার (২ জুন) নিজের ফেসবুকে পরী একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। সেখানে দেখা গেছে, হলে বসে সিনেমা দেখছেন পরীমণি। এমন সময়ে তার মোবাইলে জুয়া কোম্পানি থেকে ১০ হাজার টাকা জেতার মেসেজ আসে। খুশিতে চিৎকার করে ওঠেন তিনি। ফ্ল্যাশব্যাকে দেখা যায়, বাংলাদেশ–ভারত ম্যাচে রোহিত শর্মার আউটে আনন্দ করছেন পরীমণি। এরপর তাকে বলতে শোনা যায়, একটু (কোম্পানির নাম) আনন্দে মেতে উঠেছিলাম। তুমিও পারো আমার মতো টিম বানিয়ে ম্যাচ প্রেডাক্ট করে জিতে নিতে নানা উপহার। ওয়েবসাইটে চলে যাও আর পেয়ে যাও আরও তথ্য।
এদিকে বাংলাদেশের সংবিধান ও আইনে জুয়া খেলা একেবারেই নিষিদ্ধ। বাংলাদেশের সংবিধানের ১৮ (২) অনুচ্ছেদে নৈতিকতা রক্ষায় রাষ্ট্রের দায়িত্ব সম্পর্কে বলা হয়েছে, গণিকাবৃত্তি ও জুয়াখেলা নিরোধের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ১৮৬৭ সাল থেকে চালু প্রকাশ্য জুয়া আইন অনুসারে, কেউ টাকার বিনিময়ে বাজি বা জুয়ার আসর বসালে এবং কেউ তাতে অংশ নিলে তা হবে দণ্ডনীয় অপরাধ। সুতরাং প্রচলিত আইন অনুসারে সব ধরনের জুয়া বাংলাদেশে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।
এ প্রসঙ্গে পরীমণির হোয়াটস এপ নাম্বারে জনকণ্ঠ অনলাইনের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোন উত্তর দেননি।
জুয়া কোম্পানির শুভেচ্ছাদূত হওয়া প্রসঙ্গে পরীমণির সঙ্গে যোগাযোগ করে এক গণমাধ্যম। বিরক্তি প্রকাশ করে পরী পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘কে বলেছে এটা জুয়া কোম্পানির ওয়েবসাইট? ভালো করে খোঁজ নিয়ে ফোন করুন।’ এরপরই ফোন কেটে দেন তিনি।
পরীমণি অস্বীকার করলেও ওই কোম্পানির ওয়েবসাইট ঘুরে দেখা গেছে, সেখানে চলছে বিভিন্ন লোভনীয় জুয়ার অফার।