বিকেলে সংসদ অধিবেশন, কাল বাজেট পেশ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম বাজেট অধিবেশন আজ বুধবার (৫ জুন) বিকাল ৫টায় বসবে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী সংসদে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করবেন। আলোচনা শেষে আগামী ৩০ জুন বাজেট পাস হবে। এর আগে ১০ জুন সোমবার চলতি অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট পাস হতে পারে বলে সংসদ সচিবালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের বাজেট অধিবেশনের শুরুতে শোকপ্রস্তাব উত্থাপন ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নির্বাচন করবেন স্পিকার। তবে সম্প্রতি ভারতে নিহত হওয়া সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমের আসন শূন্য ঘোষণার বিষয়ে জাতীয় সংসদ এখনও কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি। মরদেহ এখনও না পাওয়ায় আসন শূন্য ঘোষণার বিষয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ায় শোকপ্রস্তাবে তার নাম থাকছে না। তাই শোকপ্রস্তাবের পর অধিবেশন মুলতবি না করে দিনের অন্যান্য কার্যসূচি চলবে বলে সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে।
সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, বাজেট অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে বিকাল ৩টায় জাতীয় সংসদের কার্যউপদেষ্টা কমিটির বৈঠক বসবে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা জিএম কাদেরসহ অন্যরা উপস্থিত থাকবেন। এই বৈঠকে নির্ধারণ করা হবে বাজেট অধিবেশনের কার্যসূচি। ওই বৈঠকেই বাজেট অধিবেশন কতদিন চলবে এবং বাজেটের ওপর কত ঘণ্টা আলোচনা হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ অধিবেশনেই ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকার বাজেট উত্থাপনের প্রস্তুতি চলছে। এটি হবে বর্তমান অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর প্রথম বাজেট। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট বাস্তবায়নাধীন। এর মধ্যে পরিচালনসহ অন্যান্য ব্যয় ৪ লাখ ৯৮ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির ব্যয় ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা।
সূত্রে জানা গেছে, এবারের বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে পরিচালনা ও অন্যান্য ব্যয় ৫ লাখ ৩১ হাজার ৯০০ কোটি টাকা আর উন্নয়ন ব্যয় বা এডিপি ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। জিডিপি প্রবৃদ্ধি হার ধরা হয়েছে ৬.৭৫%। নতুন বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৬.৫ শতাংশে ধরে রাখার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে ভর্তুকি ও প্রণোদনা বাবদ বরাদ্দ ধরা হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা। যার মধ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ব্যয় হবে ৪০ হাজার কোটি টাকা। আর খাদ্যনিরাপত্তায় ভর্তুকি ও প্রণোদনা বরাদ্দ ৭ হাজার ৩৬০ কোটি টাকা। বাজেট ঘাটতি মেটাতে বিদেশ থেকে ঋণ নেওয়া হবে ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা। আর অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা।