আগামী অর্থবছর থেকে নিয়োগ পাওয়া সরকারি কর্মকর্তাদের অবসর পরবর্তী পেনশন সুবিধার পরিবর্তে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ ঘোষণা দেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সব সরকারি প্রতিষ্ঠানের নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের সর্বজনীন পেনশন প্রকল্পের আওতায় আনব।’
সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এবং অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের বিক্ষোভের মধ্যে অর্থমন্ত্রী এ ঘোষণা দিলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ‘স্বায়ত্তশাসিত এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের ইতোমধ্যে এ স্কিমের আওতায় আনা হয়েছে। শিগগির আমরা অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের জন্য ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে এ ব্যবস্থা চালু করব।’
তিনি দাবি করেন যে এটি বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পেনশন স্কিমগুলোর অন্যতম কারণ সরকারই এই তহবিল পরিচালনার খরচ বহন করে এবং আমানতকারীদের লাভের সুযোগ থাকে।
মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, ‘যদি আমরা ১৮ বছরের বেশি বয়সী সব নাগরিককে সর্বজনীন পেনশন প্রকল্পের আওতায় আনতে পারি, তাহলে সবাই একটি সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় আসবে, যা ভবিষ্যতে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।’
সর্বজনীন পেনশনের ৪টি স্কিম আছে। সরকার এর মধ্যে বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশিদের জন্য ‘প্রবাস’, বেসরকারি খাতের কর্মীদের জন্য ‘প্রগতি’, উদ্যোক্তাদের জন্য ‘সুরক্ষা’ এবং দারিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারীদের জন্য ‘সমতা’ স্কিম চালু করেছে।
এছাড়াও, এ বছরের ১ জুলাইয়ের পর থেকে স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এবং অন্যান্য সংবিধিবদ্ধ সংস্থায় নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীদের ‘প্রত্যয়’ প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে মন্ত্রী জানান।
প্রচলিত ব্যবস্থা অনুযায়ী, সরকারি কর্মচারীরা সাধারণত প্রভিডেন্ট ফান্ডে টাকা জমা করেন, যার সুদের হার ১১ থেকে ১৩ শতাংশ পর্যন্ত হয়ে থাকে।