ক্রিকেটখেলাধুলা

বাংলাদেশের কাছে পাত্তা না পেয়ে সহজ লক্ষ্য দিল দক্ষিণ আফ্রিকা

বোলিং ইনিংসের শুরুটা হয় দুর্দান্ত। তানজিম সাকিবের দাপটে মাত্র ২৩ রানেই ৪ উইকেটে হারিয়ে দিশেহারা দক্ষিণ আফ্রিকা! চরম বিপদে পড়া দলকে উদ্ধার করতে লড়াই জমিয়ে তোলেন হেনরিখ ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার। তবে বাংলাদেশি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং ও মন্থর পিচে গড়তে পারেনি বড় পুঁজি। মন্থর ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের সামনে অল্পতেই গুঁড়িয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। টি-টোয়েন্টিতে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে প্রথম জয়ের দেখা পেতে বাংলাদেশের চাই ১১৪ মাত্র রান। 

বিশ্বকাপের ২১তম ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১১৩ রান তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেছেন হেনরিখ ক্লাসেন। 

নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটিতে টস ভাগ্য জেতে দক্ষিণ আফ্রিকা। উইকেটের সুবিধা কাজে লাগাতে ব্যাটিং বেছে নেন অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। কিন্তু দুর্দান্ত বোলিংয়ে সেই সুযোগ মোটেই কাজে লাগাতে দেয়নি বাংলাদেশ।

আগের ম্যাচের মতো আজও বাংলাদেশের বোলিং ওপেন করেন তানজিম সাকিব। ডট দিয়ে শুরু করা তানজিম পরের দুই বলেই হজম করেন ছক্কা-চার। পঞ্চম বলে সিঙ্গেল নিয়ে রেজা হেনড্রিকসকে স্ট্রাইক দেন কুইন্টন ডি কক। রেজাকে পেয়েই তানজিমের বাজিমাত। এলবির ফাঁদে ফেলে রেজাকে মাঠছাড়া করেন তরুণ এই পেসার। 

নিজের দ্বিতীয় ওভারে আবারও তানজিমের আঘাত। এবার ফেরালেন কুইনিকে। তানজিমের রাউন্ড দ্য উইকেটের বল খেলতে গিয়ে অনসাইডে খেলার চেষ্টায় বোল্ড হন ডি কক। ১৮ রানে থামে প্রোটিয়া ওপেনারের ইনিংস।

পরের ওভারে উইকেট উৎসবে যোগ দেন তাসকিন আহমেদ। ডানহাতি পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের পিচ করা বল ড্রাইভ করতে স্টাম্প হন এইডেন মার্করাম। পরের ওভারে আক্রমণে এসে আবারও তানজিমের উইকেট উৎসব। এবার তার ফাঁদে পা স্টার্বস। তানজিমের বলে আলতো করে ব্যাট ছুঁয়ে দিয়ে কাভারে পাঠান স্টার্বস। সেখানে থাকা সাকিব আল হাসান সহজ ক্যাচ লুফে নিয়ে মাতেন উল্লাসে। 

২৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। পাওয়ার প্লে’র ছয় ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে মাত্র ২৫ রান রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। 

এই চাপ সামলাতে উইকেটে জমাট বাধেন হেনরিখ ক্লাসেন ও ডেবিড মিলার। হতাশা কাটিয়ে এই জুটিতে দক্ষিণ আফ্রিকা দেখে আশার আলো! ৭৯ বলে ৭৯ রানের জুটিতে লড়াই করার আভাস দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু তাসকিন এসে ক্লাসেনকে ৪৬ রানে বিদায় করলে শেষ হয়ে যায় বড় রানের আশা। এরপর রিশাদ এসে ভাঙেন মিলারের প্রতিরোধ। ২৯ রান করে তিনিও ফেরেন বোল্ড হয়ে। দুই সেট ব্যাটার ফেরার পর শেষ পর্যন্ত ১১৩ রানে থামে দক্ষিণ আফ্রিকা।

বল হাতে ১৮ রান দিয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন তানজিম সাকিব। ১৯ রান খরচায় তাসকিনের শিকার দুটি। ৩২ রান দেওয়া রিশাদ নিয়েছেন এক উইকেট। নিয়ন্ত্রিত বোলিং করলেও উইকেটহীন মুস্তাফিজুর রহমান। 

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button