বগুড়ায় ঈদের রাতে জোড়া খুন, গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন হাসপাতালে
বগুড়া শহরে ঈদের রাতে দুর্বৃত্তদের হামলায় ২ যুবক খুন হয়েছেন। এ সময় পায়ে গুলি লেগে গুরুতর আহত হয়েছেন আরেক যুবক।
সোমবার ঈদুল আযহার দিবাগত-রাত প্রায় দুইটার দিকে বগুড়া শহরের নিশিন্দারা চকরপাড়া এলাকায় অন্ধকার পথের ধারে মৃত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যায় জেলা পুলিশ।
এর আগে রাত বারোটার দিকে গোলাগুলি ও হামলার ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজন হলেন নিশিন্দারা চকর পাড়ার শরীর ও রুমন। তাদের বয়স ২৩ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। পেশায় দু’জনেই ওয়েল্ডিং মিস্ত্রীর কাজ করতেন।
আহত হোসেন আকন্দ (১৯) একই এলাকার বাদল আকন্দের ছেলে। হোসেন বেকারির পণ্য সরবরাহের কাজ করেন।
হোসেনের পরিবার জানায়, ঈদের রাতে পাড়ায় ছেলেপেলেরা শিক কাবাব আয়োজন করেছিল। রাতে পাড়ার কয়েকটি ছেলের সাথে অন্য কোথাও গণ্ডগোল হয়। এটা নিয়ে অনেকগুলো মোটরসাইকেলে চড়ে লোকজন এসে হামলা চালায়। তারা এলোপাথাড়ি গুলি করে। এতে হোসেনের পায়ে গুলি লাগলে সে পালিয়ে আসে। পরে তাকে আমরা হাসপাতালে ভর্তি করাই। আর শরিফ ও রুমন সেখানেই মারা গেছে।
হোসেন আকন্দ জানান, শিককাবাব খেয়ে আমি বাসায় চলে আসি। রাতে আবার ফোন করে ডাক দেয় তখন রাস্তায় গেলে দেখি পাঁচ ছয়টি মোটরসাইকেলে অনেকজন হট্টগোল করছিল। আর আমাদের দেখে এলোপাথারিগুলি করে। কিন্তু কেন আমাদের ওপর হামলা তার কিছুই জানি না।
স্থানীয়রা জানান, বাসায় রাতের খাবার খাওয়ার পরপরই কেউ একজন মোবাইল ফোনে শরীফসহ কয়েকজনকে ডেকে নেন। পরে এলাকায় গোলাগুলির শব্দ শুনে তারা বাইরে এসে দেখেন দুর্বৃত্তরা শরীফ, রুমন ও হোসেনকে কুপিয়ে জখম করে ফেলে গেছে। ওই সময় সেখানে উপশহর এলাকার সার্জিল টিপুকে দেখা গেছে। পরে তারা চলে গেলে হোসেনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। কিন্তু শরীফ ও রুমন ঘটনাস্থলেই মারা যান।
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, হত্যাকাণ্ডের কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। হত্যার কারণ জানতে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট কাজ করছে। রাতে নিহত দুজনের লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।