ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো করেছেন অ্যাসিস্ট, গড়েছেন ইউরোয় অ্যাসিস্টের রেকর্ডও। আর তারকা ফরোয়ার্ডের রেকর্ড গড়ার দিনে ইউরোতে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে পর্তুগাল। এফ গ্রুপের ম্যাচে তুরস্ককে ৩–০ গোলে হারিয়ে শেষ ষোলোতে জায়গা নিশ্চিত করেছে ২০১৬–এর চ্যাম্পিয়নরা। পর্তুগালের হয়ে একটি করে গোল করেছেন বের্নার্দো সিলভা ও ব্রুনো ফার্নান্দেজ। অপর গোলটি ছিলো আত্মঘাতী।
রোনালদো গোল না করলেও ব্রুনোর দ্বিতীয় গোল তারই বানিয়ে দেয়া। এ ছাড়া তুরস্কের করা আত্মঘাতী গোলেও ছিল ৫বারের ব্যালন ডি’অরজয়ীর স্ট্রাইকারের প্রভাব। পর্তুগালের কাছে হারলেও তুরস্কের পরের পর্বে ওঠার সুযোগ এখোনো আছে। একই দিনে গ্রুপের অন্য ম্যাচে চেক প্রজাতন্ত্র–জর্জিয়া ১–১ গোলে ড্র করায় গ্রুপে দ্বিতীয় স্থানে এখোনো টিকে আছে তুরস্ক।
ডর্টমুন্ডের সিগনাল ইদুনা পার্কের ম্যাচে তুরস্কের বিপক্ষে প্রথমেই শটই নেন রোনালদো। দ্বিতীয় মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে নেয়া ওই শট অবশ্য তুরস্ক গোলকিপার আতলাই বায়িন্দির সহজে আটকে দেন। ম্যাচে পর্তুগাল প্রথম গোলটি পায় ২১ মিনিটে, নুনো মেন্ডেসের বাড়ানো বল ধরে সহজেই জালে জড়ান বের্নার্দো সিলভা। ২৯ বছর বয়সী ম্যানচেস্টার সিটির এ উইঙ্গার পর্তুগালের হয়ে গোলটি করে। বড় কোন টুর্নামেন্টে এটিই তার প্রথম গোল। এর আগে দুটি করে ফিফা বিশ্বকাপ ও ইউরো মিলিয়ে টানা ১৪ ম্যাচে গোলশূন্য ছিলেন তিনি।
এর ৭ মিনিট পর দ্বিতীয় গোলের দেখা পায় পর্তুগাল। এই গোলে অবশ্য তুরস্কের ডিফেন্ডার সামেত আকাইদিনের দায়ই বেশি। হোয়াও কানসেলো মাঝমাঠ দিয়ে লম্বা করে বল বাড়ান রোনালদোর জন্য। তবে বল পেয়ে যান আকাইদিন।
রোনালদো নিজেদের রক্ষণভাগে থাকার কারণেই হয়তো বল পেছনে গোলকিপারের দিকে বাড়ান তিনি। কিন্তু বায়িন্দির ততক্ষণে সামনে চলে আসেন, ধীরে ধীরে বল চলে যায় জালের দিকে। গোলকিপার ছুটে গেলেও তার আগেই গোললাইন পেরিয়ে যায় বল।
প্রথমার্ধে ২–০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা পর্তুগাল তৃতীয় গোলটি করে ৫৫ মিনিটে। ব্রুনোর কাছ থেকে পাওয়া বল যখন রোনালদোর পায়ে, তখন সামনে শুধু গোলকিপারই ছিলেন। তবে নিজে গোলের চেষ্টা না করে কিছুটা সুবিধাজনক জায়গায় থাকা ব্রুনোকে দিয়ে দেন। এ নিয়ে ইউরোতে ৭ গোলে অ্যাসিস্ট করলেন রোনালদো। ১৯৮০ আসর থেকে সংরক্ষিত রেকর্ড বলছে, এ সময়ে রোনালদোই সবচেয়ে বেশি গোল করিয়েছেন। ছাড়িয়ে গেছেন চেক প্রজাতন্ত্রের কারেল পোভরস্কির ৬ অ্যাসিস্টের রেকর্ড।
শেষের আধা ঘণ্টায় আর কোনো গোল না হওয়ায় শেষ ষোলোর টিকিট নিয়ে মাঠ ছাড়ে পর্তুগাল।