দুদক মামলায় কারাগারে বগুড়ার সাবেক প্যানেল মেয়র ও শ্রমিক নেতা হেলাল
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বগুড়ার সাবেক প্যানেল মেয়র ও শ্রমিক লীগ নেতা শামসুদ্দিন শেখ হেলালকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে বগুড়ার স্পেশাল জজ আদালত। মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিন বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে শামসু্দ্দিন শেখ হেলাল জামিন নিতে এলে তা নামঞ্জুর করেন বগুড়ার স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ।
শামসুদ্দিন শেখ হেলাল বগুড়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ও মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
দুদকের মামলার সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি বগুড়া দুদকের সাবেক উপ-পরিচালক মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে অর্থপাচার আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় শামসুদ্দিন হেলালসহ তার দুই স্ত্রী হেলেনা পারভীন ও ছেলে হোসাইন হাবিবের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার এবং দুদক আইনের একাধিক ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
এজাহারে হেলালের বিরুদ্ধে ৯ কোটি ৭২ লাখ ৪০ হাজার ৯২০ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। এ ছাড়া ১ কোটি ২ লাখ টাকার বেশি সম্পদ দ্বিতীয় স্ত্রী আবে জমজম ওরফে নাজীর কাছে স্থানান্তরের অভিযোগ এনে তাকেও আসামি করে দুদক। আর তার প্রথম স্ত্রী হেলেনা পারভীন ২ কোটি ৪১ লাখ ২৩ হাজার ৯৮৩ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। তবে সম্পদ বিবরণীতে তিনি ১৬ লাখ ৯৪ হাজার ১৮৯ টাকার ভিত্তিহীন হিসাব দেন।
এ ছাড়া ছেলে হোসাইন হাবীবের ২ কোটি ৮০ লাখ ৫ হাজার ৩৪৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার দাবি করে সংস্থাটি।
চার মাস তদন্ত শেষে দুদক বগুড়া জেলা কার্যালয়ের তিনজন সহকারী পরিচালক আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এর প্রেক্ষিতে গত বছরের ৩০ জুলাই বগুড়ার সিনিয়র স্পেশাল জজ মোজাম্মেল হক চৌধুরী শামসুদ্দিন হেলালের চারটি বাড়ি ও নয়টি গাড়ি জব্দের আদেশ দেন।
চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি সেই আদেশ বাস্তবায়ন হয়। এই ঘটনার আগেই চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে হুলিয়া ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। পরোয়ানা জারির পর থেকে শামসুদ্দিন হেলালসহ বাকি তিন আসামি পলাতক ছিলেন।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া জেলা দুদকের আইনজীবী পিপি আবুল কালাম আজাদ বলেন, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে জামিন নিতে হেলাল ও তার স্ত্রী আবে জমজম বগুড়ার স্পেশাল জজ আদালতে হাজির হন। এ সময় আদালতের বিচারক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তবে হেলালের স্ত্রী আবে জমজমের জামিন মঞ্জুর করেন তিনি।