মূল একাদশে ছিল না লিওনেল মেসি, অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার, রদ্রিগো ডি পলের মতো নিয়মিত সব মুখ। আগেই কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলায় এদিন শুরুর একাদশে ৯ পরিবর্তন আনেন কোচ লিওনেল স্কালোনি।
তবে লাউতারো মার্তিনেজের জোড়া গোলে পেরুর বিপক্ষে সহজেই জয় পেল আর্জেন্টিনা। মায়ামিতে আজ ২-০ গোলের জয়ে গ্রুপসেরা হয়েই কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে গেল আলবিসেলেস্তেরা।
টানা তিন ম্যাচে গোল করে রেকর্ডেও নাম লিখিয়েছেন লাউতারো মার্তিনেজ। ২০০১ সালের পর থেকে কোপা আমেরিকায় গ্রুপপর্বের তিন ম্যাচেই গোল করার রেকর্ড ছিল না কোনো খেলোয়াড়ের। ২৩ বছর পর সেই কীর্তি গড়লেন আর্জেন্টাইন এই স্ট্রাইকার। ৪ গোল করে এককভাবে এই আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতাও এখন তিনি।
বল দখলে আধিপত্য বজায় রাখলেও প্রথমার্ধে গোল পায়নি বর্তমান কোপা চ্যাম্পিয়নরা। ৪৭ মিনিটে ডি মারিয়ার থ্রু বল বক্সে পেয়ে চিপ শটে গোল করেন লাউতারো মার্তিনেজ। অবশ্য আর্জেন্টিনা আরও বড় ব্যবধানে জয় পেতে পারতো। ৭২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারেননি লিয়ান্দ্রো পারেদেস। তার শট ডান পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। গোলমুখে আর্জেন্টিনার শট হেসুস কাস্তিলোর হাতে লাগায় পেনাল্টি পেয়েছিল আর্জেন্টিনা।
গোল না করতে পেরে অনাকাঙ্খিত এক রেকর্ডে নাম উঠিয়েছেন পারেদেস। গেল ২৫ বছরে আর্জেন্টিনার জার্সিতে কোপা আমেরিকায় প্রথম পেনাল্টি (শ্যুটআউট ব্যতীত) মিস করলেন তিনি। এর আগে সবশেষ এমন মিস করেছিলেন রবার্তো আয়ালা। ১৯৯৯ সালে ব্রাজিলের বিপক্ষে ম্যাচে পেনাল্টি মিস করেছিলেন।
৮৬ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করেন লাউতারো মার্তিনেজ। এবার বল পায়ে ডি বক্সে ঢুকে গোল করেন। ম্যাচে তাগলিয়াফিকোর একটি গোল বাতিল হয় অফসাইডের কারণে।
‘এ’ গ্রুপে চিলি ও কানাডার ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়। তাতে গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে চিলিকে। তিন ম্যাচ থেকে চার পয়েন্টে দুইয়ে থেকে কোয়ার্টারে উঠেছে কানাডা।
কোপা আমেরিকাতে ২০০৪ সালের পর এই প্রথম গ্রুপপর্ব থেকে বাদ পড়লো চিলি। দুই পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে তিনে শেষ করলো চিলি। কোস্টারিকা এক পয়েন্টে চারে।