ম্যাচটা আরো আগে জমিয়ে দিতে পারত ইকুয়েডর। প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনা গোল করলেও দ্বিতীয়ার্ধে সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়েছিল তারা। পেনাল্টি থেকে গোল করতে না পারলেও ম্যাচের শেষ বাঁশির আগে ১-১ গোলে সমতা করে ফেলে ইকুয়েডর।
যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত কোপা আমেরিকার আসরে অতিরিক্ত ৩০ মিনিট না থাকায় ম্যাচ সরাসরি টাইব্রেকারে গড়ায়। সেখানে প্রথম শটই মিস করেন লিওনেল মেসি। পরের দুই শটই ফিরিয়ে দেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। মেসির ভুল সামলে নেন তিনি। জমে যাওয়া টাইব্রেকারে শেষ পর্যন্ত ৪-২ ব্যবধানে জিতে কোপার সেমিফাইনালে উঠে গেছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ।
শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সকালে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে শুরু হওয়া ম্যাচে প্রথমার্ধে ১-০ গোলের লিড নেয় আর্জেন্টিনা। গোল করেন দারুণ ছন্দে থাকা লওতারো মার্টিনেজ। ম্যাচের ৩৫ মিনিটে দলকে লিড এনে দেন। প্রথমার্ধে কর্তৃত্ব করেই খেলে আলবিসেলেস্তেরা।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে সমতায় ফেরায় চেষ্টায় আক্রমণে ধার বাড়ায় তরুণ দল নিয়ে কোপা আমেরিকা খেলা ইকুয়েডর। আক্রমণের পাশাপাশি বলের লড়াইয়ে পর্যন্ত আর্জেন্টিনার সমানে উঠে আসে তারা। দ্বিতীয়ার্ধে গোল করারও সহজ সুযোগ পেয়েছিল তারা। কিন্তু ৬২ মিনিটে পাওয়া পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারেননি ইনার ভ্যালেন্সিয়া।
ওই ভুলও কাটিয়ে ওঠে শারীরিক ফুটবলে পারদর্শী ইকুয়েডর। ম্যাচের ৯১ মিনিটে গোল করে সমতায় ফেরে দলটি। যে গোলটি আসে বেলজিয়ামের ক্লাবে খেলা কেভিন রদ্রিগেজের পা থেকে।
এরপর ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। প্রথম শট নেন মেসি। কিন্তু বল জালে পাঠাতে পারেননি তিনি। হতাশায় মুচড়ে যান সর্বজয়ী এই ফুটবলার। কিন্তু গোলবারে দাঁড়ানো ‘বাজপাখি’ খ্যাত এমিলিয়ানো মার্টিনেজ ইকুয়েডরের প্রথম শটই বাঁ দিয়ে ঝাপিয়ে দুর্দান্ত দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন। মেসির ভুল সামলে নেন। পরের শটও মিস করে ইকুয়েডর। অন্য দিকে আর্জেন্টিনার হয়ে পরের চার শটে যথাক্রমে হুলিয়ান আলভারেজ, ম্যাক আলিস্টার, গঞ্জালো মন্টিয়েল ও নিকোলাস ওটামেন্ডি গোল করে দলকে সেমিতে তুলে নেন।