পেনশন স্কিম নিয়ে একটা ভুল বোঝাবুঝি ছিল, তা দূর হয়েছে: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘পেনশন স্কিম ২০২৪ না ২০২৫ এ নিয়ে একটা ভুল বোঝাবুঝি ছিল, তা দূর হয়েছে। ২০২৫ সালের পহেলা জুলাই থেকে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু হবে।’
শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ কর্মসূচি নিয়ে প্রজ্ঞাপন বাতিল করাসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষকদের অন্যান্য দাবি নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আলাপ আলোচনার মাধ্যমে অচিরেই সমাধান হবে।
এদিনে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি আকতারুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর নিজামুল হক ভূঁইয়া নেতৃত্বে ১৩ জন শিক্ষক প্রতিনিধি আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠক শেষে ওবায়দুল কাদের জানান, শিক্ষকদের দাবিগুলো প্রধানমন্ত্রীর কাছে তোলা হবে। এসময় শিক্ষকদের কর্মবিরতি কর্মসূচি প্রত্যাহার করার অনুরোধ করেছেন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা সাংগঠনিকভাবে ফেডারেশনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। তবে শিক্ষকদের সব দাবি মানা যাবে না, সরকারেরও যুক্তি আছে। তাদের দাবি যুক্তিসংগত হলে বিবেচনা করা হবে।’
কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের দাবি ও অনেক বক্তব্য সংবিধান ও রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির বিরোধী উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, কোটা নিয়ে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে কোটার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। একটা কুচক্রী মহল কোটাবিরোধী আন্দোলন থেকে ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গেল কয়েকটি বছরে কোটা না থাকায় নারীদের অংশগ্রহণ হতাশাজনক। পিছিয়ে পড়েছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীও।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্য বাংলাদেশে কোটায় নিয়োগ সবচেয়ে কম। ভারতের ৬০ শতাংশ, পাকিস্তানের ৯২ দশমিক ৫ শতাংশ, নেপালে ৪৫ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ৫০ শতাংশ চাকরিতে এবং বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে ৬০ শতাংশ কোটা চালু রয়েছে।’
বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের ১৫টি জেলার প্রায় ২০ লাখ মানুষ বন্যাকবলিত। বন্যার তো এসব মানুষের পাশে সরকারের পাশাপাশি সহযোগিতা করছে আওয়ামী লীগের জনপ্রতিনিধি ও নেতাকর্মীরা।
ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন্নাহার চাপা, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা কবি কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী সহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।