জাতীয়প্রধান খবর

এক নজরে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের পরিচয়

ড. মুহাম্মদ ইউনূস:

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস একজন সামাজিক উদ্যোক্তা ও সমাজসেবক। তিনি ২০০৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা এবং ক্ষুদ্রঋণ ও ক্ষুদ্রবিত্ত ধারণার প্রবর্তনের জন্য শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। ড. ইউনূস অর্ধশতাধিকেরও বেশি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সম্মান পেয়েছেন। যার মধ্যে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মাননাও।


সালেহউদ্দিন আহমেদ:


বাংলাদেশ ব্যাংকের নবম গভর্নর ছিলেন ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ। ২০০৫ সালের ১ মে তিনি গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ২০০৯ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এই পদে আসীন ছিলেন। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামে।


ব্রি. এম সাখাওয়াত হোসেন:


এম সাখাওয়াত হোসেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল। এম সাখাওয়াত হোসেন বাংলাদেশি সামরিক ব্যক্তিত্ব, বুদ্ধিজীবী ও লেখক। তিনি ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের কমিশনার ছিলেন। চাকরি ও নির্বাচন কমিশন থেকে অবসরের পর তিনি জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা বিষয়ে গবেষণার কাজ করছেন। একই সঙ্গে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পত্রিকার কলামিস্ট এবং নিরাপত্তা বিশ্লেষক।


আসিফ নজরুল:


ড. আসিফ নজরুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক । একাধারে তিনি একজন লেখক, ঔপন্যাসিক, রাজনীতি বিশ্লেষক, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও কলামিস্ট। টিভি টক—শো ও কলাম লেখক এই ব্যাক্তিত্ব তরুণ প্রজন্মের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়। ড. আসিফ নজরুল দশের অধিক গ্রন্থের রচয়িতা।


হাসান আরিফ:


হাসান আরিফ একজন আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল। ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০০৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন।


মো. তৌহিদ হোসেন:


সাবেক পররাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব পালন করা মো. তৌহিদ হোসেন দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার ছিলেন। ১৯৯৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০০০ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি ফরেন সার্ভিস একাডেমির প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত পররাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন।মো. তৌহিদ হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।


সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান:


সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান একজন বাংলাদেশি আইনজীবী ও পরিবেশকর্মী। তিনি পরিবেশ নিয়ে কাজ করা এনজিও বেলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। আন্তর্জাতিকভাবে ফ্রেন্ডস অফ আর্থ ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী সদস্য; এনভায়রনমেন্টাল ল’ এলায়েন্স ওয়ার্ল্ডওয়াইড এবং এনভায়রনমেন্টাল ল’ কমিশন অব দ্যা আইইউসিএনের সদস্য ও তিনি ।সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান কাজের স্বীকৃতিসরূপ বেশকিছু খেতাব ও পুরস্কার অর্জন করেছেন। ২০২২ সালে তিনি আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কার পান।


শারমিন মুরশিদ:


অধিকার ভিত্তিক সংগঠন ব্রতী সমাজ কল্যাণ সংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদে রয়েছেন শারমিন মুরশিদ। সংস্থাটি ২০০১ সাল থেকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠি বিশেষ করে আদিবাসী জনগনের অধিকার আদায়ে কাজ করে আসছে।

ফারুক—ই—আজম:


ফারুক—ই—আজম (বীর প্রতীক)একজন নৌকমান্ডো। মহান মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র সমন্বিত যুদ্ধাভিযান ‘অপারেশন জ্যাকপট’র সদস্য তিনি। চট্টগ্রাম বন্দরে আক্রমণের জন্য গঠিত ওই অভিযানিক দলের উপ—অধিনায়ক ছিলেন তিনি। তার বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে।


আদিলুর রহমান খান:


আদিলুর রহমান খান একজন মানবাধিকার কর্মী এবং মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি বাংলাদেশের একজন আইনজীবী এবং সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। স্বৈরশাসক এরশাদের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সম্মুখসারিতে ছিলেন তিনি।


সুপ্রদীপ চাকমা:


সাবেক রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমার জন্ম ১৯৬১ সালে খাগড়াছড়ির কমলছড়িতে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ছাত্র ছিলেন। সুপ্রদীপ চাকমা বিসিএস (পররাষ্ট্র) ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। মেক্সিকো ও ভিয়েতনামে রাষ্ট্রদূত ছিলেন তিনি।


ফরিদা আখতার:


ফরিদা আখতার একজন লেখক, গবেষক ও আন্দোলনকর্মী। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের নামে পরিচালিত কার্যক্রমের মারাত্মক কুফল ও নারী স্বাস্থ্যের উপর এর ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে লেখালেখি এবং প্রতিকার আন্দোলের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে সুপরিচিত ফরিদা আখতার। তার প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে নারী ও গাছ, কৈজুরী গ্রামের নারী ও গাছের কথা।


বিধান রঞ্জন রায়:


বিধান রঞ্জন রায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একজন উপদেষ্টা। পেশায় তিনি একজন মনোচিকিৎসক। তিনি জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ও হাসপাতালে মনোচিকিৎসা বিভাগের পরিচালক ও অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

আ ফ ম খালিদ হোসেন:


আ ফ ম খালিদ হোসেন একজন দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত। বিশ্ব মুসলীম লীগের মুখপাত্র দ্যা ওয়ার্ল্ড মুসলিম লীগ জার্নালসহ বিভিন্ন সাময়িকীতে তার দুই শতাধিক গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কর্তৃক প্রকাশিত ইসলামী বিশ্বকোষ দ্বিতীয় সংস্করণের ৩ থেকে ৯ খণ্ড এবং সীরাত বিশ্বকোষ সম্পাদনা করেছেন। তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ২০ টি। এ ছাড়া, তিনি চারটি জাতীয় পত্রিকার নিয়মিত লেখক।


নূরজাহান বেগম:


নূরজাহান বেগম ২০১০ সালে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হন। এর আগে তিনি নোবেল বিজয়ী প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে ছিলেন।


নাহিদ ইসলাম:


কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশক্তির সদস্য সচিব। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করেন এবং শেষ পর্যন্ত সেই আন্দোলনে সফল হোন।


আসিফ মাহমুদ:


আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক। একই সঙ্গে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশক্তির আহবায়ক। ২০২৩ সালের ৪ অক্টোবর ঢাবির ডাকসু ভবনের সামনে থেকে গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি নামে এ ছাত্র সংগঠনটির আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দেন ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button