র্যাগিং বন্ধে সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ
দেশের সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের ঠেকাতে ‘অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি’ গঠন ও র্যাগিং বন্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বুধবার (২১ আগস্ট) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইশরাত হাসান।
এর আগে, ২০২০ সালের ১২ জানুয়ারি দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলোতে র্যাগিংয়ের শিকার শিক্ষার্থীদের প্রতিকারে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান নিজেই শুনানি করেন।
রুলে শিক্ষার্থীদের জীবন ও সম্মান রক্ষায় র্যাগিং বন্ধে নীতিমালা করতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়েছেন আদালত।
আইনজীবী ইশরাত হাসান সাংবাদিকদের বলেছিলেন, অনেক স্বপ্ন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা তরুণ-তরুণীরা সিনিয়রদের র্যাগিংয়ের শিকার হন। সিনিয়ররা নতুনদের কান ধরে ওঠবস করানো, রড দিয়ে পেটানো, পানিতে চুবানো, উঁচু ভবন থেকে লাফ দেওয়ানো, সিগারেটের আগুনে ছ্যাঁকা দেওয়া, গাছে ওঠানো, ভবনের কার্নিশ দিয়ে হাঁটানো এমনকি দিগম্বর পর্যন্ত করে।
এ ছাড়া গালিগালাজ করা, কুৎসা রটানো, নজরদারি করা ও নিয়মিত খবরদারির মতো নানা ধরনের মানসিক নির্যাতন করা হয়। এসব কারণে হাইকোর্টে রিট করা হয়।
আদালতের আদেশে পর এ বিষয়ে নীতিমালা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরে সেই নীতিমালা হাইকোর্টে দাখিল করা হয়।
তারও আগে ২০২০ সালের ৯ অক্টোবর র্যাগিং বন্ধ ও র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইউজিসিসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান।