ভারতে পালানোর সময় আ. লীগ নেতার মৃত্যু
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না মারা গেছেন।
শুক্রবার মধ্যরাতে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত পাড়ি দিয়ে মেঘালয়ের শিলং পাহাড়ে ওঠার সময় পা পিছলে পড়ে গিয়ে তিনি মারা যান বলে জানা গেছে।
পান্নার ভাগনে পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার চিড়াপাড়া পার সাতুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লাইকুজ্জামান তালুকদার মিন্টু সর এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, তার মামা পান্না শনিবার সকালে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ে একটি পাহাড় থেকে পা পিছলে পড়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তবে কবে কখন, কীভাবে তারা শিলং পৌঁছেছেন—এ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কিছুদিন আত্মগোপনে থেকে ভারতে যেতে চেয়েছিলেন পান্না। সীমান্ত পার হয়ে শুক্রবার রাতে মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ের একটি পাহাড়ে ওঠেন তিনি। পাহাড় পার হয়ে ওপারে যাওয়ার চেষ্টার সময়ই হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। এতেই তার মৃত্যু ঘটে। পান্নার মৃত্যু নিয়ে ভিন্ন তথ্যও মিলেছে।
সূত্রে জানা যায়, সিলেটের তামাবিল সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন পান্না। ওপারেই তার মৃত্যু হয়। সেটা গুলি নাকি হৃদরোগের কারণে, সেটা নিশ্চিত হতে পারেননি তারা। সীমান্তের ভারত প্রান্তের একটি থানায় তার মরদেহ রয়েছে বলে জানা গেছে।
পান্নার স্ত্রী আইরীন পারভীন বাঁধন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ৪৫ বছর বয়সে ২০১৬ সালে মারা যান। আইরীন সরকারের উপসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শামসুন্নাহার হলের ভিপি ছিলেন। স্ত্রীর মৃত্যুর পর পান্না আর বিয়ে করেননি। এই দম্পতির ইফতেশাম আফতারি আরিয়ান নামে ছেলে সন্তান রয়েছে।
১৯৯৪ সালের সম্মেলনে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন পান্না। স্বচ্ছ ইমেজের পান্না ২০১২ সালের সম্মেলনের পর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহ-সম্পাদক এবং পরে বিভিন্ন উপকমিটির সদস্য হয়েছিলেন। মৃত্যুর আগপর্যন্ত ছিলেন পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। এর আগে ২০০৮ সালের নির্বাচনে পিরোজপুর-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান পান্না। অবশ্য পরে ১৪ দলীয় জোটগত নির্বাচনের কারণে সরে যেতে হয় তাকে।
পেশাগত জীবনে বীমা কোম্পানি ডায়মন্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারমান ছিলেন সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতা।