পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়

‘বাংলাদেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে আছে’

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের একের পর এক পদত্যাগের কারণে বেশিরভাগ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।

এমন অবস্থায় বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ একটি আদেশে পরিস্থিতি মোকাবেলা করা বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে একজন সিনিয়র শিক্ষককে প্রশাসনিক কাজ করার অনুমতি দিতে বলেছে।

আপাতত অস্থায়ী এবং জরুরী ভিত্তিতে চলছে অর্থ সংক্রান্ত কাজ।

বিভাগের অফিস আদেশে বলা হয়েছে, সিনিয়র শিক্ষকরা সংশ্লিষ্ট ডিন কাউন্সিল বা বিভাগের চেয়ারম্যানদের সাথে পরামর্শ করে কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

পদত্যাগের ফলে বেশিরভাগ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় দেড় মাস ধরে বেশিরভাগ প্রশাসনিক পদ খালি রয়েছে।

গত ৫ই অগাস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকা ক্ষমতাচ্যুত করার পর এক অভূতপূর্ব পরিস্থিতিতে অনেক উপাচার্য একযোগে পদত্যাগ করেন।

বিশেষ করে আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ব্যাপক রাজনীতিকরণের অভিযোগের মধ্যে তারা তাদের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর, রেজিস্ট্রার, কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টর, ডিন, প্রভোস্ট, সিন্ডিকেট সদস্য, ওয়ার্ডেন এবং হাউস টিউটররাও অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে পদত্যাগ করেছেন, যখন কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ বা তার বেশি কর্মকর্তা একযোগে পদত্যাগ করেছেন।

এর ফলে এই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক, প্রশাসনিক ও অন্যান্য কার্যক্রম প্রায় সম্পূর্ণভাবে অচল হয়ে পড়ার অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা আবাসিক হলে ফিরে গেলেও এসব প্রতিষ্ঠানের বেশির ভাগেই ক্লাস ও পরীক্ষা হচ্ছে না।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button