‘প্রিয়জন জীবিত না মৃত’
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, শেখ হাসিনা সরকারের ১৫ বছরে যারা গুমের শিকার হয়েছেন, তারা জীবিত নাকি মৃত, সেই তথ্য অবিলম্বে জানতে চান তাদের স্বজনরা। এছাড়া তারা গুমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেছেন।
শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষ্যে গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের প্ল্যাটফর্ম ‘মায়ের ডাক’ আয়োজিত মানববন্ধনে তারা এ দাবি জানান।
সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে অংশ নেন মানবাধিকারকর্মী, রাজনীতিক, আইনজীবী ও নিখোঁজদের স্বজনরা।
মানববন্ধনে তারা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধেরও দাবি জানান।
বিকালে ‘মায়ের ডাকের’ আয়োজনে ‘গুম জান ও জবান’ নামের প্রদর্শনী শুরু হয়েছে জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে। সেখানে বিভিন্ন পরিবারের নানা গল্প ফুটে উঠেছে আলোকচিত্রীর ছবিতে।
প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বন, পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আর যেন গুম নিয়ে কথা বলতে না হয়, এ কারণে গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে বাংলাদেশ অনুস্বাক্ষর করেছে।
গুম হওয়া প্রত্যেক ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে আমাদের সদিচ্ছার কোনো অভাব থাকবে না। অন্তত যারা গুমের বিষয়ে জড়িত ছিলেন, তাদের যেন বিচারের মুখোমুখি করা যায়, এটুকু আশা করা যায়।