বেতন কম হওয়ায় তরুণরা সাংবাদিকতায় আকর্ষণ হারাচ্ছেন: তথ্য উপদেষ্টা
সাংবাদিকতায় বেতন কাঠামো নিয়ে সমস্যা আছে। বেতন কম হওয়ায় তরুণরা দিনদিন সাংবাদিকতা পেশায় আকর্ষণ হারাচ্ছেন। ওয়েজ বোর্ড নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে, তাই ওয়েজ বোর্ড সংস্কারের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এসব কথা বলেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
মঙ্গলবার সচিবালয়ের ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভের সঙ্গে সাক্ষাতে এ কথা বলেন তিনি।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, “আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে চাই। বিগত বছরগুলোতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান একেবারে নিচের দিকে ছিল। বিগত দিনে বাংলাদেশে সাংবাদিকরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন। সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রহসন হয়েছে। বিগত সরকার বেশ কিছু আইন দিয়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করেছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো আইন আমরা রাখবো না।’
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, “ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রাপ্ত নতুন বাংলাদেশের উন্নয়নে বিদেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন। জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করে যেকোনো বিনিয়োগকে স্বাগত জানানো হবে।’
সাক্ষাতে দুই দেশের মধ্যেকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক খাতে পারস্পরিক অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান নাহিদ ইসলাম।
এ সময় তিনি দুর্নীতি, অন্যায়-অবিচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর ও অনমনীয় অবস্থান সম্পর্কে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে জানান।
এর আগে, আলোচনার শুরুতেই হেলেন লাফেভ জানতে চান সরকারে এসে দৃষ্টিভঙ্গির কি পরিবর্তন হয়েছে? জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, ছাত্রদের প্রতিনিধি হয়ে সরকারে এসেছি, তাই দৃষ্টিভঙ্গি একই রয়েছে; শুধু কাজের পদ্ধতি পরিবর্তন হয়েছে। আমরা দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করছি।
এ সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, দূতাবাসের পলিটিক্যাল-ইকোনমিক কাউন্সেলর এরিখ জিলান, মার্কিন দূতাবাসের অর্থনৈতিক কর্মকর্তা জেমস গার্ডিনার, কমার্শিয়াল কাউন্সেলর জন ফে, পাবলিক অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক কর্মকর্তা স্টিফেন ইবেলি, প্রটোকল সুপারভাইজার নিশাত তাসনিম উপস্থিত ছিলেন।