বগুড়ায় তেলের ট্যাংক বিস্ফোরণে নিহত ৪
বগুড়ার শেরপুরে মজুমদার প্রোডাক্ট লিমিটেডের তেলের ট্যাংক বিস্ফোরণে চার জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার ভবানীপুরে অবস্থিত তেলের লাইন মেরামতের সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, মো. ইমরান, মোহাম্মদ সাঈদ (৩৮), রুবেল (৩১) ও মনির (২৮)। নিহতদের প্রত্যেকের বাড়ি নীলফামারীর সৈয়দপুর অফিসার্স কলোনি এলাকায়।
ছিলিমপুর মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির টিএএসআই লালন হোসেন নিহতদের নাম পরিচয় নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দুপুর দুইটার দিকে চারজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। পরে নিহতদের লাশ মর্গে পাঠানো হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনার আগে তেলের লাইন মেরামতের জন্য ট্যাংকের ওপর ৪ জন এবং ট্যাংকের নিচে ৩ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। এ সময় ওয়েল্ডিংয়ের আগুনের ফুলকি তেলের ট্যাংকের ভেতরে প্রবেশ করলে ট্যাংকে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ট্যাংকের উপরে থাকা ৪ শ্রমিক ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ফায়ার সার্ভিস লিডার মো. সাইফুল ইসলাম, অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে আমরা সেখানে যাই। কিন্তু সেখানে গিয়ে আমরা কোনোআগুন পাইনি। তবে তেলের ট্যাংক বিস্ফোরণ হয়েছে এমন আলামত দেখেছি। তাদের কাছ থেকে আমরা জানতে পেরেছি তেলের লাইন মেরামতের জন্য বাইরে থেকে লেদ মিস্ত্রিদের নিয়ে এসে কাজ করানো হচ্ছিলো। তারা শুধু আমাদেরকে জানিয়েছে বিস্ফোরণ ঘটলে তিনজন আহত হয়। তাদেরকে তারা চিকিৎসার জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছে। আমরা এখন জানতে পারছি ওই ঘটনায় ৪ জন মারা গেছেন।
এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমন জিহাদী বলেন, আমি মাত্র ঘটনাস্থলে এসেছি। সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবো। আমি জেলা প্রশাসক স্যারের সাথে কথা বলেছি। ইতোমধ্যে তিনি একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন যে শ্রমিকগুলো নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। সেখানে শেরপুর থানার ওসি থাকবেন, শেরপুরের একজন খাদ্য অফিসার, একজন কলকারখানার পরিদর্শক, ফায়ার সার্ভিসের একজন প্রতিনিধি, আর প্রশাসন থেকে একজন টেকনিক্যাল হ্যান্ডস থাকবে।