বগুড়ায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সাগর হত্যা: লীগ-বিএনপির ১৯ জনের নামে মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক: বগুড়ার শাজাহানপুরের স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী ও শীর্ষ সন্ত্রাসী সাগর তালুকদার ও তার সহযোগী স্বপন মিয়াকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীসহ ১৯ জনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) শাজাহানপুর থানায় সাগর তালুকদারের বড় বোন রোকসানা আকতার বর্ষা বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সাগর তালুকদার, স্বপন মিয়াকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে শাজাহানপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক ত্রান বিষয়ক সম্পাদক ও আশেকপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হযরত আলীকে। এছাড়াও যুবলীগ নেতা ছোট শাহীন এবং স্থানীয় বিএনপি নেতা ও নিহত সাগর তালুকদারের চাচা পান্নু তালুকদার, বিএনপি কর্মী আব্দুল জলিল মামলার আসামি।
অন্যান্য আসামিরা আওয়ামী লীগের হযরত আলীর কয়েকজন সহযোগী এবং বিএনপি নেতা পান্নু তালুকদারের সহযোগী।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর সাবরুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পারভেজ হত্যার জের ধরে সাগরকে হত্যা করা হয়েছে।
ঘটনার দিন বিকেলে সাগর তার বোন রোকসানা আকতারের বাড়িতে ছিলেন। মোক্তার মোটরসাইকেল নিয়ে সেখানে আসে। এরপর সাগর তার মোটরসাইকেলে চড়ে মাছের খাবার দেয়ার জন্য রওয়ানা দেন। পথে স্বপনকে মোটরসাইকেলে তুলে নেন সাগর। এ সময় ছোট মণ্ডলপাড়ায় আগে থেকে আসামিরা ওৎ পেতে ছিলেন। সেখানে আসামাত্র আসামিরা সাগর ও অন্যদের পথরোধ করে। মোটরসাইকেল থামানো মাত্রই আসামিরা সাগর, স্বপন ও মোক্তারের ওপর হামলে পড়ে। এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সাগর ও স্বপন সেখানেই প্রাণ হারান। আর মোক্তার গুরুতর আহত হন।
মামলার বাদী রোকসানা আকতার বর্ষা বলেন,পারভেজ হত্যার সময় সাগর জেলখানায় ছিল। তারপরেও পারভেজ হত্যায় সাগরকে দায়ী করা হয়।
শাজাহানপুর থানার ওসি আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে। কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
সাগর তালুকদার পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ছিল।তার নামে ৪ টি হত্যাসহ চাঁদাবাজি, মাদক, ছিনতাই, অপহরণের অভিযোগে ১৯ টি মামলা রয়েছে।