অফিসে সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হলে যা করবেন
পরিবারে যেমন সব সদস্য একরকম হন না, অফিসের সব সহকর্মীও ভিন্ন ধারার হবেন সেটাই স্বাভাবিক। কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন, তো কেউ অন্যের পদোন্নতি একদম দেখতে পারেন না!
সহকর্মীদের মধ্যে মতের অমিল থাকতেই পারে, কিন্তু তা থেকে বিভেদের সৃষ্টি হলে কাজের পরিবেশ যেমন নষ্ট হয়, ব্যক্তিজীবনেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এমন পরিস্থিতি সামলাতে তাই উদ্যোগী হন নিজেই।
মেজাজ সামলানো
অন্যের কথা বা বক্তব্য আপনার ক্ষতি করার সামর্থ্য রাখে না, সামর্থ্য রাখে আপনার নিজের ভাবনাচিন্তা। তাই অন্যের নেতিবাচক আচরণে ক্ষেপে গিয়ে আপনি যদি প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন, তাহলে জয় কিন্তু ঐ ব্যক্তির। অফিসের কেউ গায়ে পড়ে ঝগড়া করতে চাইলে তাকে জানিয়ে দিন, আপনি তাঁর সাথে কথা বাড়াতে উৎসাহী নন। এমনকি সহকর্মীদের কেউ আপনার পেছনে কথা বললে কিংবা ফেসবুক স্ট্যাটাস দিলেও শান্ত রাখুন নিজেকে।
সরাসরি আলাপ করুন
সহকর্মীর খারাপ আচরণের কারণে ধীরে ধীরে আপনি কর্মস্থলে আত্মবিশ্বাস হারাতে পারেন, বিষণ্নতায় ভুগতে পারেন। তাই কোনো সহকর্মীর সঙ্গে জটিলতা গভীর হওয়ার আগেই, সরাসরি কথা বলুন। এসময় নিজের বক্তব্য ঠান্ডা মাথায় পেশ করতে হবে। হঠাৎ করে রেগে গেলে চলবে না। সহকর্মী যদি ‘অ্যাগ্রেসিভ’ হয়ে থাকেন, তা হলেও নয়। সহকর্মীর নেতিবাচক আচরণের পরিপ্রেক্ষিতে নিজেকে কীভাবে ঠিক রাখবেন, সেটা নিয়ে ভাবুন।
স্থায়ী সমাধান গ্রহণ
দু’জন সহকর্মীর মধ্যে মতবিরোধ ঘটলে অফিসের অন্যরা অনেক সময় তা সাময়িক দমনের উদ্দেশ্যে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকেন। এতে দু’পক্ষের মধ্যেই চাপা ক্ষোভ রয়ে যেতে পারে। এভাবে ঘটনার রেশ ধরে থাকলে তাদের মাঝে স্বাস্থ্যকর কর্মীসুলভ সম্পর্ক বজায় রাখাটাও কঠিন। তাই এমন একটি স্থায়ী সমাধানে পৌঁছাতে হবে যা দু’পক্ষের জন্যই সুবিধাজনক।
তৃতীয়পক্ষের সহায়তা
অফিসের কর্মীরা প্রায় সকলেই প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে থাকেন; ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সমস্যার সমাধান দুই পক্ষ মিলেই করে ফেলতে পারেন। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে তৃতীয় পক্ষেরও দরকার হয়। যদি একই দলে আরও অনেকে থাকেন, তাহলে বিভেদ মেটাতে অন্য সদস্যদেরও ডাকতে পারেন। তবে তৃতীয় কোনো পক্ষের সঙ্গে অফিসের বাইরে এসব নিয়ে গালগল্প কিংবা কানভারি করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এসব নিতান্তই ছেলেমানুষী আচরণ।