বগুড়ায় মিজান হত্যার এক যুগ পর ৪৩ জনের নামে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বগুড়ায় জামায়াত কর্মী মিজানুর রহমানকে হত্যার প্রায় এক যুগ পর এই ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে নিহত মিজানুরের বন্ধু মোছাদ্দিকুর রহমান বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় মামলাটি করেন।
মিজানুর রহমান কুমিল্লার তিতাস উপজেলার সরকারবাড়ী গ্রামের আবু কালাম সরকারের ছেলে। তিনি বগুড়ায় মুরগির হ্যাচারিতে কাজ করতেন এবং পৌরসভার সাবগ্রাম মাস্টারপাড়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। এ ছাড়া জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন মিজানুর।
মামলার বাদী মোছাদ্দিকুর রহমান হত্যাকাণ্ডের সময় মিজানের সাথে ছিলেন।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর থানার সেকেন্ড অফিসার (এসআই) আব্দুর রহীম।
তিনি জানান, মামলায় ৪৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছে আরও ১০০ জন।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মোহন, দপ্তর সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল রাজী জুয়েল, বগুড়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ইব্রাহিম হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাশরাফী হিরো, জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক তিতাসসহ আরও অনেকে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৩১ জানুয়ারি দুপুর একটার দিকে বগুড়া শহরের সাবগ্রাম কমান্ডো প্লাজার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন মিজানুর রহমান। এ সময় আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশি অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মিজানুরকে ঘিরে ধরেন। তারা মিজানুরকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত এবং লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে মারপিট করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে আসামীরা জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়, নিহতের লাশ দাফন এবং কাফনের পর মোছাদ্দিকুর থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে তাকে থানা থেকে তাড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে তাকে মোবাইল ফোনে মামলা না করার জন্য হুমকি দেয়া হয়। হুমকিতে বাদীকে তার পরিবারসহ গুম করার কথা জানানো হয়। যে কারণে তিনি ওই সময় আর মামলা করেননি।