বগুড়ায় রাতের আঁধারে প্রতিবেশীর গোপনাঙ্গ ‘কাটলেন’ নারী
মিনহজ উদ্দিন (ধুনট প্রতিনিধি): বগুড়ার ধুনটে শাহীন আলম (৪৫) নামের এক ব্যক্তির গোপনাঙ্গ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে শাহিদা খাতুন নামের প্রতিবেশী এক নারীর বিরুদ্ধে। শাহিনের ওপর হামলা কারণ সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি। তবে ঘটনার পর থেকে এলাকায় এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) এ ঘটনায় ধুনট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন হামলার শিকার শাহিনের স্ত্রীর বড় ভাই রিপন মিয়া।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার নিমগাছী ইউনিয়নের শিয়ালী (বড়ইতলী) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
হামলার শিকার শাহিন মিয়া উপজেলার নিমগাছী গ্রামের বাসিন্দা। অভিযুক্ত নারী শাহিদা খাতুনও একই গ্রামের মেয়ে।
শাহীন আলমের স্ত্রীর বড় ভাই রিপন মিয়া জানান, শাহিদা খাতুন ঠিক কি কারনে আমার বোন জামাইকে মেরেছে সে সম্পর্কে আমি অবগত না। ঘটনার দিন রাতেই আমার বোন জামাই আমাকে জানায় অন্তত ৫/৬ জন তাকে ধরে খুটির সাথে আটকিয়ে জোড় করে গোপনাঙ্গ চাকু দিয়ে কেটে দেয়। এক পর্যায়ে আমার বোন জামাই প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ে পালিয়ে আসে। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে শাহিদার হাতে ধারালো দেশীয় অস্ত্র (ধারালো দা) দেখতে পাই।
রিপন আরও জানান, বোন জামাইকে বাঁচানোর তাগিদে দ্রুত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। এ ঘটনায় পরের দিন শুক্রবার আমি বাদি হয়ে ধুনট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
স্থানীয় সূত্র বলছে, শাহিদা খাতুন তার স্বামী মিঠু মিয়ার সঙ্গে একই এলাকার বড়ুইতলী (গুচ্ছগ্রামে) বসবাস করেন। পাশাপাশি বসবাস করায় শাহিদা খাতুনের সাথে শাহীন আলমের সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্প্রতি শাহিদার কাছে থেকে ২ হাজার টাকা ধার নিয়েছিল শাহিন আলম।
এই টাকা ধার নেয়াকে কেন্দ্র করে উভয়ের মাঝে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। কিন্তু সেট মিমাংসা হয়ে গিয়েছিল। এরপর থেকে শাহিদার বাড়িতে আগের মতো যাতায়াত করতে থাকেন শাহীন আলম। ঘটনার দিন রাতে শাহীন আলমকে ডেকে নেয় শাহিদা খাতুন। পরে শাহিদা নিজে শাহীন আলমের গোপনাঙ্গ কাটেন বলে জানা যায়। এই কথা শাহিদা নিজে তার প্রতিবেশীদের জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম বলেন, অভিযোগটি হাতে পাইনি। পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।