প্রধান খবরসারাদেশ

শেরপুরে বন্যায় প্লাবিত হচ্ছে নতুন এলাকা, মৃত্যু ৭

শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় বৃদ্ধি পেয়েছে নদ-নদীর পানি। লোকালয়ে পানি প্রবেশ করায় প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।

বন্যায় এখন পর্যন্ত (রবিবার, ৬ অক্টোবর) ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

পানিবন্দি মানুষদের উদ্ধারে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসনসহ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিজিবি এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

এখন পর্যন্ত শেরপুরের ৫টি উপজেলার ২৮টি ইউনিয়নের দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আর পানিবন্দি হয়ে পড়েছে দেড় লাখেরও বেশি মানুষ। ঝিনাইগাতী এবং নালিতাবাড়ী উপজেলার সব সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

বন্যায় জেলার অন্তত ৩০ হাজার হেক্টর আমন আবাদ এবং এক হাজার হেক্টর সবজির আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে অন্তত ৭০ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

নকলা থানার ওসি সংবাদমাধ্যমকে জানান, বন্যার পানিতে ডুবে সর্বশেষ শনিবার রাতে নকলায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নালিতাবাড়ী উপজেলায় পাঁচ জন ও ঝিনাইগাতীতে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সংবাদমাধ্যমকে জানান, পানিবন্দি মানুষদের সঠিকভাবে উদ্ধার করতে সফল হয়েছি। অনেককে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের জন্য বিশুদ্ধ পানি এবং শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। উপজেলার ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

জেলা প্রশাসক সংবাদমাধ্যমকে জানান, জেলার বেশ কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। দুর্গতদের উদ্ধারে ও শুকনো খাবার পৌঁছে দিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। একইসঙ্গে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button