প্রধান খবরবগুড়া সদর উপজেলা

বগুড়ায় ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার জেরে কবি সুলতান স্যান্নালের ওপর হামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বগুড়া লেখক চক্রের সভাপতির বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করার জেরে কবি সুলতান স্যান্নালের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার রাত ১০টার দিকে বগুড়া শহরের সাতমাথার টেম্পল রোডস্থ উদীচী কার্যালয়ের সামনে তার ওপর হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় তিনি গতকাল রাতেই বগুড়া লেখক চক্রের সভাপতি ইসলাম রফিক, সাফোয়ান আমিনসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

কবি সুলতান স্যান্নাল বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার উত্তর শ্যামপুরের তজমাল হকের ছেলে। তার প্রকৃত নাম ‍সুলতান হোসেন। পাঠক মহলে তিনি সুলতান স্যান্নাল নামে পরিচিত।

তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, ইসলাম রফিক বিগত ১৬ বছর ধরে বগুড়া লেখক চক্রের সভাপতির পদ দখল করে রেখেছে। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হওয়ায় আবারও একইভাবে সভাপতির পদ ধরে রাখার অপচেষ্টা করায় আমি ফেসবুকে বগুড়া লেখক চক্র সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত লিখে পোস্ট করি। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ৪/৫ জন অজ্ঞাত ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে আমার ওপর হামলা চালিয়ে এলোপাতারি মারধর করে হত্যার হুমকি দিয়ে ফেলে রেখে যায়। পরে আমার চিৎকার শুনে ঘটনাস্থল থেকে খানেক দুরত্বে থাকা আমার বন্ধুবান্ধব এবং স্থানীয়রা এসে আমাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে সুলতান স্যান্নাল বলেন, গতকাল রাতে আমার কবি-সাহিত্যিক বন্ধুদের সাথে বগুড়া খোকন পার্কে আড্ডা শেষে বাড়ি ফিরছিলাম। আমার সাথে কবি তালাশ তালুকদার এবং মশিউর রহমান ছিলেন। উদীচীর সামনে পৌছলে সাফোয়ান আমিন আমাকে পেছন থেকে ডাক দেয়। ওই সময় আমি তালাশ তালুকদার এবং মশিউর রহমানের থেকে দলছুট হয়ে যাই। সাফোয়ান আমিনের কাছে পৌছলে তিনি ফেসবুকে আমার দেয়া স্ট্যাটাস এবং তালাশ তালুকদারের স্ট্যাটাসে মন্তব্যের জের টেনে কিছু বুঝে উঠার আগেই আমাকে চড় থাপ্পর মারতে শুরু করে। আমি প্রতিরোধ করতে গেলে তার সাথে থাকা আরো ৪/৫ জন আমার ওপর হামলা চালায়।

এ বিষয়ে বগুড়া লেখক চক্রের সভাপতি ইসলাম রফিক বলেন, সুলতান স্যান্নালের উপর হামলা বা মারপিটের ঘটনা তার জানা নেই। গতকাল রাত ১১টা পর্যন্ত তারা এক কবির জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ছিলেন।

বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মইনুদ্দীন বলেন, অভিযোগটি গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বিষয়টি তদন্তের জন্য একজন সাব ইন্সপেক্টরকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button