প্রধান খবরবগুড়া জেলা

বগুড়ায় সাবেক স্বামী-সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বাঁচতে সংবাদ সম্মেলন


নিজস্ব প্রতিবেদক: বগুড়ায় এ্যাপোলো ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশন এর স্বত্বাধিকারী ও তাঁর নিয়ন্ত্রিত সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বাঁচতে মোছা. রিমু নামে এক নারী সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়৷


রিমু শাজাহানপুর উপজেলার খরনা নাদুরপুকুর এলাকার রুহুল আমিনের মেয়ে। বর্তমানে শহরের সুলতানগঞ্জপাড়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন।


সংবাদ সম্মেলনে জানা যায়, ২০১৯ সালে এ্যাপোলো ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশনের মালিক মাহবুব সাঈদীর সাথে ফেসবুকের মাধ্যমে রিমু পরিচয় হয়। পরবর্তীতে ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল মাহবুবের প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ পান রিমু। রিমুর বাবা প্রবাসে থাকার সুবাদে বড় অংকের আয় করেন। বিষয়টি জানার পর থেকে কোম্পানিতে শেয়ার দেয়ার প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবে রাজি হলে ২০ শতাংশ শেয়ার দেয়ার নামে ৫০ লাখ টাকা নেয়া হয় রিমুর বাবার কাছে। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে এই চুক্তি হয়।


এই সুযোগে রিমুর সঙ্গে ঘনিষ্টতা বৃদ্ধি করে ২০২২ সালে তাকে বিয়ে করেন মাহবুব। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর থেকে কোম্পানিতে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম চোখে পড়ে রিমুর। বিষয়টি স্বামী মাহবুবকে জানালে তিনি গুরুত্ব দেননি। এরই এক পর্যায়ে এসব টানাপোড়নের মধ্যে রিমু ও তার মাকে সন্ত্রাসী দিয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে জোর করে তালাকনামায় সই নেন মাহবুব।


মোছা. রিমু সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কোম্পানিতে ক্রমাগত আর্থিক অনিয়ম নিয়ে কথা বলায় আমার সাথে মাহবুব সাইদীর বড় বউয়ের সহযোগীতায় ম্যানেজার রুবেল বিভিন্ন ষড়যন্ত্র শুরু করে। এ কারনে মাহবুব সাইদীর সাথেও আমার সম্পর্কের টানাপোড়েন হয়। সেই সময় আমাকে কোম্পানির লভ্যাংশ দেওয়া বা অন্যান্য কাজের অধিকার বন্ধ করে দেয়। এরপর আমার বিনিয়োগের টাকার অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। তারপর মাহবুব ধীরে ধীরে আমাকে সরানোর পাঁয়তারা করে। সে ম্যানেজার রুবেলের সহযোগিতায় ছাত্রলীগের জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন আকন্দসহ তার ছেলেপেলেদের নিয়ে আমাকে তুলে নিয়ে যায়।


রিমু অভিযোগ করেন, এরপর থেকে আমি আমার বাবার বাড়িতে অবস্থান করি। কাজী অফিসে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করে নেয়ার জন্য ২০২২ সালের ১৮ মে আমি অপহরণ ও দেনমোহরের জন্য ৮৩১ সি/২২ নং মামলা করি। কিন্তু মাহবুব সাইদী টাকার প্রভাব খাটিয়ে ম্যানেজ করে উল্টাপাল্টা রিপোর্ট করে নেয়। আমার জবানবন্দি পাল্টিয়ে দেয়। তারপর থেকে আমার অসহনীয় জীবনের শুরু। মাহবুব সাইদীর হুকুমে কর্মচারী ম্যানেজার রুবেল ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের দিয়ে আমার পুরো পরিবারের উপর সার্বক্ষনিক নজর রাখে এবং আমাদেরকে বগুড়া ছাড়া করার জন্য পুলিশ প্রসাশন দিয়েও ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে। আমার ছোট বোনকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেওয়ায় তার কলেজ যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়।


আমরা চারজনের পরিবার দুর্বিষহ জীবনযাপন করছি এমন দাবি করে রিমু জানান, আমাদের এই অসহায় মুহুর্তে প্রশাসনের সহযোগিতা চাই। নইলে মাহবুব সাঈদীর অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হবে।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button