বগুড়ার আ. লীগ-যুবলীগের ৭ নেতাকর্মী ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার
বগুড়া প্রতিবেদক: বগুড়ার আদমদীঘিতে বিএনপির অফিসে হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের সাত নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করে আদমদীঘি থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান।
এর আগে রবিবার রাতে র্যাব ও আদমদীঘি থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে ঢাকা মিরপুর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সান্তাহার ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান এরশাদুল হক টুলু (৫৬), ছাতিয়ানগ্রাম ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আব্দুল হক আবু (৬০), কুন্দগ্রাম ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান শামিমুল হুদা খন্দকার শামিম (৫২), আদমদীঘি ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান (৫৬), উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা খন্দকার নাজিমুল হুদা (৬২), উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমিনুল ইসলাম সুমন (৪০) ও উপজেলা যুবলীগের নেতা একরাম হোসেন (৪২)।
এজাহারের বরাতে পুলিশ জানায়, গত ৪ আগস্ট আদমদীঘিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঠেকাবার জন্য আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের প্রায় ২৫০ জন নেতা-কর্মি ককটেল, পেট্রোল, সাবল ও লাঠিসহ দলবদ্ধ হয়ে উস্কানিমুলক শ্লোগান দিয়ে আদমদীঘি সদরে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত বিএনপির অফিসের সামনে ককটেল নিক্ষেপ ও বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এরপর হামলাকারীরা বিএনপি অফিসে ঢুকে দরজা জানালাসহ আসবাবপত্র ভাংচুরের পর পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয়।
এ ঘটনায় গত ২৫ আগস্ট রাতে ১২৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২৫০ জনের নামে মামলা করা হয়।
এ বিষয়ে আদমদীঘি থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গ্রেপ্তারকৃত ৭ আসামিকে আজ বগুড়া আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।