আজ বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস
আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস।
ফুসফুসের প্রদাহজনিত ভয়ংকর একটি রোগ নিউমোনিয়া। বাংলাদেশে প্রতি বছর ২৪ হাজারের বেশি শিশু মারা যায় এই রোগে। পাশাপাশি বয়স্কদেরও নিউমোনিয়া হয়। বিশেষ করে যারা দীর্ঘদিন রোগে ভুগছেন বা যাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল।
এছাড়া অল্প বয়স্ক, স্বাস্থ্যবান এবং তরুণদেরও হতে পারে নিউমোনিয়া। ফুসফুসে স্ট্রেপটোকক্কাস জাতীয় ব্যাকটেরিয়া কিংবা শ্বাসযন্ত্রের সিনসিশিয়াল ভাইরাস (আরএসভি) সংক্রমণ ঘটালে ফুসফুস ফুলে ওঠে, ভরে ওঠে পুঁজে বা তরল পদার্থে, যা অক্সিজেন গ্রহণ করে নিঃশ্বাস নেওয়ার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তখন ফুসফুসে প্রদাহ হয়।
উপসর্গ বা লক্ষণ
নিউমোনিয়ার উপসর্গগুলো বিভিন্ন হয়ে থাকে। এটা নির্ভর করে শারীরিক অবস্থা এবং কী ধরনের জীবাণুর সংক্রমণ হয়েছে তার উপর। তবে সাধারণত যে লক্ষণগুলো দেখে বোঝা যাবে আপনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত সেগুলো হলো- জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, কাঁপুনি, অতিরিক্ত ঘাম, বুকে ব্যথা যা শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে উঠানামা করে, মাথাব্যথা, মাংসপেশীতে ব্যথা ও ক্লান্তি।
কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন
অস্বাভাবিক জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, ঘাম, বুকে ব্যথা- এই লক্ষণগুলো দেখলে দেরি না করে ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত। এছাড়া যারা বৃদ্ধ এবং শিশু, যারা ধূমপান করেন, যারা ফুসফুসে কোনো আঘাত পেয়েছেন, যাদের ক্যানসারের চিকিৎসায় কেমোথেরাপি নেওয়া অথবা অন্য কোনো ওষুধ খাওয়ার ফলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে। এসব ব্যক্তিরা তো দেরি করবেনই না।
শনাক্তকরণ
শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা, বুকের এক্স-রে, রক্ত এবং কফ/শ্লেষ্মা পরীক্ষা।
চিকিৎসা ও সতর্কতা
অ্যান্টিবায়োটিক, প্রচুর তরল খাবার, পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। ভালোভাবে পরিষ্কার করে হাত ধুতে হবে, নিজের প্রতি যত্ন নিতে হবে, সুষম খাবার খেতে হবে। ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে।
অন্যের সামনে হাঁচি/কাশি দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। হাঁচি/কাশি দেওয়ার সময় মুখ হাত দিয়ে ঢাকতে হবে বা রুমাল ব্যবহার করতে হবে। টিকা দিতে হবে। যেমন- ইনফ্লুয়েঞ্জার জন্য ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন খুবই কার্যকর। পাশাপাশি ডায়াবেটিস, এইডস, পুষ্টিহীনতা ইত্যাদির চিকিৎসা করাতে হবে।